অমিক শাহ এবং নীতীশ কুমার।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির চাপেই নীতীশ কুমারের শর্ত মেনে নিতে কার্যত বাধ্য হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আগামী লোকসভা নির্বাচনে ‘বড় ভাই’ হিসেবে লড়বে না বিজেপি। সম-সংখ্যক আসনেই লড়বে জেডিইউ ও বিজেপি।
আজ দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন নীতীশ। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা বলেন, ‘‘দুই দল সম-সংখ্যক আসনে লড়বে।’’ অমিত শাহ বলেন, ‘‘নতুন অতিথি ঘরে এলে সকলকেই ত্যাগ করতে হয়। আমরাও করছি। আগামী দু’-তিন দিনের মধ্যেই এই নিয়ে ঘোষণা করা হবে।’’
এ দিকে, বিহারে এনডিএর পুরনো শরিক রামবিলাস পাশোয়ান জানিয়ে দিয়েছেন, গত বারের সাতটি আসনে লড়েছিল তাঁর লোক জনশক্তি পার্টি। জিতেছিল ছ’টি আসনে। এ বারও সাতটি আসনের কমে তাঁরা লড়বেন না। তবে আর এক শরিক নেতা উপেন্দ্র কুশহওয়া এই ঘোষণা নিয়ে নীরব। বরং তিনি তলে তলে আরজেডির সঙ্গে সমঝোতার পথেই এগোচ্ছেন। সূত্রের খবর, আজ যখন দিল্লিতে অমিত শাহ-নীতীশ কুমার বৈঠক হচ্ছে তখন বিহারের অরওয়ালের এক অতিথিশালায় তিনি তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর আগে কুশহওয়ার চাল ও যাদবের দুধ দিয়ে বিহারের আগামী নির্বাচনে ‘ক্ষীর’ রাজনীতির ইঙ্গিত দেন উপেন্দ্র। সে কারণেই তেজস্বীর সঙ্গে তাঁর বৈঠককে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। যদিও দিল্লিতে অমিত শাহ বলেন, ‘‘উপেন্দ্র কুশহওয়া আমাদের সঙ্গেই থাকছেন।’’
তবে ৪০ আসনের বিহারে কে কত সংখ্যক আসনে লড়বে তা আজ ঘোষণা করা হয়নি। অমিত ও নীতীশ জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সংখ্যার ঘোষণা করা হবে। গত লোকসভা নির্বাচনে নীতীশকে ছাড়াই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ বিহারে ৩১টি আসনে বিজয়ী হয়। বিজেপি পেয়েছিল ২২টি আসন। রামবিলাস ও উপেন্দ্রর দল যথাক্রমে ৬টি ও ৩টি আসন দখল করে। সূত্রের খবর, নতুন সমীকরণ অনুযায়ী বিজেপি ও জেডিইউ ১৬টি করে আসনে লড়বে। রামবিলাসকে দেওয়া হবে ৬টি আসন, উপেন্দ্র পাবেন দু’টি আসন। উপেন্দ্র এনডিএতে না থাকলে দু’টি আসন বিজেপি-জেডিইউ ভাগ করে নেবে।
দিল্লিতে আজ সকালে এইমসে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে নীতীশ প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭ লোককল্যাণ মার্গের বাড়িতে যান। সেখানে ঘন্টা দেড়েক ধরে একান্ত বৈঠক করেন তাঁরা। বিকেলে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নীতীশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy