Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
general-election-2019-national

‘বিভেদের গুরু’ নিয়ে বিজেপির নিশানা পাকিস্তান

ওই পত্রিকার সাম্প্রতিক সংখ্যায় প্রচ্ছদ নিবন্ধের শিরোনাম ‘ইন্ডিয়া’জ ডিভাইডার ইন চিফ’ বা ভারতে বিভেদের গুরু। লোকসভা ভোটের বাজারে তা বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৯ ০১:৪১
Share: Save:

আমেরিকার টাইম পত্রিকা নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করায় পাকিস্তানকে দুষল বিজেপি। কারণ টাইম পত্রিকায় নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করে যিনি নিবন্ধ লিখেছেন, তিনি পাকিস্তানের নাগরিক।

ওই পত্রিকার সাম্প্রতিক সংখ্যায় প্রচ্ছদ নিবন্ধের শিরোনাম ‘ইন্ডিয়া’জ ডিভাইডার ইন চিফ’ বা ভারতে বিভেদের গুরু। লোকসভা ভোটের বাজারে তা বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। সেই অস্বস্তি এড়িয়ে আজ পাল্টা আক্রমণে নেমে পাকিস্তানের দিকে তির ঘোরানোর চেষ্টা করল মোদী অমিত শাহের দল।

বিজেপির সদর দফতরে আজ সাংবাদিক বৈঠক করে দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্রর অভিযোগ, ‘‘টাইম পত্রিকায় নিবন্ধের লেখক কে? তিনি পাকিস্তানের নাগরিক। তিনি নরেন্দ্র মোদীকে ডিভাইডার বলেন। পাকিস্তানের থেকে কী আশা করা যায়? পাকিস্তানে দু’বার সার্জিকাল স্ট্রাইক হয়েছে। বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযান হয়েছে। তাই পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মঞ্চে নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তি মলিন করতে চাইছে। ভারতের সেনা ও নরেন্দ্র মোদীর দৃঢ় সঙ্কল্পের জন্য পাকিস্তান ভারতের কেশাগ্রও ছুঁতে পারছে না। তাই পাকিস্তানের লেখক মোদীর নামে কালি ছেটাতে চাইছেন। আর রাহুল গাঁধী সেই নিবন্ধ টুইট করছেন।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিজেপির এমন আক্রমণের পর বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, টাইম পত্রিকার নিবন্ধের লেখক পাকিস্তানের নাগরিক হলেও ওই নিবন্ধের সঙ্গে পাকিস্তানের কী সম্পর্ক? বস্তুত, টাইম পত্রিকার নিবন্ধের লেখক আতিশ তাসির পাকিস্তানের প্রয়াত রাজনীতিক সলমন তাসিরের ছেলে হলেও তাঁর মা, ভারতেরই সাংবাদিক, তভলিন সিংহ। পাকিস্তানের উদারবাদী রাজনীতিক সলমন তাসির বরাবরই সে দেশের ধর্মদ্রোহ-বিরোধী আইনের কড়া সমালোচক ছিলেন। সে জন্য তাঁকে আততায়ীর হাতে প্রাণও দিতে হয়।

বিজেপির অবস্থান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিদ্রুপ শুরু হয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছে, এবার ‘ভক্ত’-রা রাস্তার ডিভাইডারের উপরে দাঁড়িয়ে বলবেন, ‘হাম ভি ডিভাইডার’। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের অবশ্য যুক্তি, ‘‘মোদীজি ডিভাইডার নন, ইউনিফায়ার। জিএসটি, তরুণদের জন্য মুদ্রা যোজনা, মহিলাদের রান্নার গ্যাস দিয়ে তিনি দেশকে এককাট্টা করেছেন। আমেরিকার গবেষণাই বলছে, মোদীজি প্রতি মিনিটে ৪৪ জনকে দারিদ্রসীমা থেকে বার করে আনছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE