আজ সকালে একটি বেসরকারি চ্যানেলের উদ্বোধনে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
মোদী ও মিডিয়া!
গোটা দুনিয়া চষে বেড়ানো মোদী পাঁচ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বে একটিও সাংবাদিক বৈঠক করেননি। যা অভূতপূর্ব। ‘পছন্দের টিভি চ্যানেলে’ মোদীর সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। আজও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর থেকে বেশি প্রচার মন্ত্রী (পাবলিসিটি মিনিস্টার) বলে কটাক্ষ করেছেন। ভোট বিধি চালু হওয়ার পরে দূরদর্শনের পর্দায় প্রধানমন্ত্রীর ‘মিশন-শক্তি’ ঘোষণা নিয়েও বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। বিতর্কের এই আবহে ভোটের ঠিক মুখে পুরোদস্তুর একটি চ্যানেলই নিয়ে এল বিজেপি। চালু হল ‘নমো-টিভি’। তার মাধ্যমেই আজ প্রচারিত হল মোদীর ‘আমিও চৌকিদার’ অনুষ্ঠান।
কিন্তু তার আগে আজ সকালে অন্য একটি বেসরকারি চ্যানেলের উদ্বোধনে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। দিল্লিতে সেই বেসরকারি চ্যানেল শুরুর দিনে মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিতর্ক বাধল সেখানে প্রধানমন্ত্রীর একটি মন্তব্য ভিডিয়ো-বন্দি হয়ে যাওয়ায়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী গাড়ি থেকে নামার সময় তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির হন সংস্থার সিইও। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনি এমন সব লোককে (সাংবাদিক) ভর্তি করেছেন, তাঁদের রক্তেই আছে আমাকে গালি দেওয়া।’’ সিইও জবাবে বলেন, ‘‘বদল আনছি আমরা।’’ সংবাদমাধ্যমকে প্রধানমন্ত্রীর এমন খোলা ধমক দেওয়ার ঘটনার ভিডিয়ো হাতে পেয়ে ছাড়েনি বিরোধীরা। কংগ্রেসের রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘এটি লজ্জাজনক। মোদীজি চ্যানেলের সিইওকে খোলা ধমক দিচ্ছেন! এ ভাবে সংবাদমাধ্যম তো বিকিয়ে যাবেই।’’ গত কাল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ গাঁধীনগরে মনোনয়ন পেশের আগে আর একটি ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। অমিত শাহ তাঁর নাতনিকে কোলে নিয়ে বিজেপির একটি টুপি পরানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু যত বার তিনি চেষ্টা করেন, তত বারই প্রবল অনীহায় তা খুলে ফেলে ছোট্ট শিশুটি। আজ দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন চ্যানেলে খবরটিই মুছে ফেলা হয়েছে!
রণদীপ সেটিকে নিয়েও সরব হন। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের স্বতন্ত্র সংবাদমাধ্যমকে বারবার দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটাই অমিত শাহের নিজস্ব শৈলী।’’ কংগ্রেসের অভিযোগ, পছন্দের খবর না হলে এ ভাবেই গত পাঁচ বছর ধরে সংবাদমাধ্যমের উপর ছড়ি ঘোরানো হয়েছে। রাজ্যসভা ভোটে লড়ার সময় অমিত শাহের সম্পত্তি কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার খবরও চাপার চেষ্টা হয়েছিল। শুধু বিজেপি নেতারা নন, কেন্দ্রের মন্ত্রীরাও বিভিন্ন খবরের কাগজ, চ্যানেলের সম্পাদকদের ফোন করে খবর না চালানোর জন্য চাপ দিয়েছেন। যদিও আজ ‘আমিও চৌকিদার’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা অভিযোগ করেন, ভোটের সময়ে কংগ্রেস মিথ্যা প্রচার করে। তাদের মিথ্যাগুলি হয় সাময়িক। মোদীর দাবি, মিথ্যাগুলি বাজারে ছেড়ে দেওয়ার পর তাদের ‘ইকো-সিস্টেম’ সেগুলি আরও প্রচার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy