Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দীপ জ্বেলে রাখতে মরিয়া দুই প্রান্তিক

কোল্লম থেকে আরও বেশ খানিকটা উত্তরে ত্রিশূরে একই অস্তিত্বের লড়াই আর এক বাম দল সিপিআইয়েরও।

এন কে প্রেমচন্দ্রন ও  রাজাজি ম্যাথু

এন কে প্রেমচন্দ্রন ও রাজাজি ম্যাথু

সন্দীপন চক্রবর্তী
কোল্লম শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:০৬
Share: Save:

জাতীয় সড়ক ৬৬ চলে যাচ্ছে কন্যাকুমারীর দিকে। কোট্টিয়ম জংশন থেকে বাঁ দিকে মোড় নিলে জায়গাটার নাম কুন্ডারা। এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই বিধায়ক এবং কেরলের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন এম এ বেবি। গত বার তাঁকে হারিয়ে কোল্লম লোকসভা কেন্দ্রের দখল নিয়েছিলেন এন কে প্রেমচন্দ্রন। এখন কুন্ডারা জায়গাটাকে বেশ প্রতীকী মনে হচ্ছে!

বাংলায় লোকসভার দীপ নিভেছে আগেই। প্রেমচন্দ্রনের হাত ধরে কোল্লম পুনর্দখল করতে না পারলে কন্যাকুমারীর উপকণ্ঠে সাগরপ্রাপ্তির দশাই হবে আরএসপি-র! সংসদে মুছে যাবে অস্তিত্ব। কোল্লম থেকে আরও বেশ খানিকটা উত্তরে ত্রিশূরে একই অস্তিত্বের লড়াই আর এক বাম দল সিপিআইয়েরও। গোটা দেশে আদি কমিউনিস্ট পার্টির হাতে এখন একমাত্র লোকসভা আসন বলতে ওই ত্রিশূর। বিহারের বেগুসরাইয়ে কানহাইয়া কুমারকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা যতই চলুক, সংগঠনের মদত নিয়ে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সিপিআইয়ের বাজি মন্দির এবং হাতির জন্য খ্যাত ত্রিশূরই।

দুই বাম দলের অবস্থান এখানে অবশ্য কাশ্মীর ও কন্যাকুমারীর মতো দুই বিন্দুতে! সিপিএমের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বামেদের ফ্রন্ট এলডিএফ ছেড়ে বেরিয়ে আরএসপি আছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফে। প্রেমচন্দ্রনের প্রচারে তাঁর নিজের দলের চেয়ে কংগ্রেসের জাঁকজমকই বেশি। সিপিআই আবার পরম্পরাগত ভাবে এলডিএফের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক। কেরলের বাম মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতর তাদের হাতে।

প্রেমচন্দ্রনের বক্তব্য, ‘‘সিপিএম আমাদের কথা কোনও ভাবেই শোনেনি। এখানে রাজনীতি করতে গেলে কোনও একটা শিবিরে থাকতে হয়। কংগ্রেসের সঙ্গেই আমরা আছি।’’ বিগত লোকসভায় প্রেমচন্দ্রনের সরব ভূমিকা তাঁক কংগ্রেসের কাছে আরও প্রিয় করে তুলেছে এ বার। ত্রিশূরের সিপিআই প্রার্থী রাজাজি ম্যাথু আবার বলছেন, ‘‘সিপিআই নয়, আমাকে এলডিএফের প্রতিনিধি হিসেবে দেখুন। সিপিআই একা নয়, গোটা এলডিএফের সংগঠনই আমাদের জন্য খাটছে।’’ ত্রিশূরের বিদায়ী সাংসদ সি এন জয়দেবনকে টিকিট না দিয়ে দলের তামিল মুখপত্রের সম্পাদক রাজাজি’র ভাবমূর্তিতে ভরসা রেখেছে সিপিআই। প্রাক্তন বিধায়ক রাজাজিও নিজেকে নেতার বদলে সাংবাদিক বলতে বেশি ভালবাসেন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কোল্লমে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কে এন বালাগোপালকে প্রার্থী করে আরএসপি-কে বেগ দিতে চাইছে সিপিএম। ত্রিশূরে চমক দিতে বিজেপি প্রার্থী করেছে রাজ্যসভার সাংসদ ও অভিনেতা সুরেশ গোপীকে। রাজাজির অবশ্য দাবি, ‘‘লড়াইটা আমাদের সঙ্গে ইউডিএফের। চমকে কিছু হবে না!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE