Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

আরজেডি-কংগ্রেস অনড়, রফা অধরা 

সূত্রের খবর, তেজস্বী অন্য বিরোধী দলগুলির নেতাদের দু’দিন অপেক্ষা করতে বলেছেন। 

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। —ফাইল চিত্র।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯ ০৪:৫২
Share: Save:

বিজেপি-জেডিইউ-এলজেপি বিহারে আসন ভাগাভাগি করে ফেললেও এখনও জোটের জট খুলতে পারেনি কংগ্রেস-আরজেডি। জট কাটাতে তাই দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। দুই নেতার মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে আশা করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, তেজস্বী অন্য বিরোধী দলগুলির নেতাদের দু’দিন অপেক্ষা করতে বলেছেন।

তিনি নিজে অবশ্য ইতিমধ্যেই নাম না-করে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টুইটে। লিখেছেন, ‘‘কয়েকটি আসন বাড়ানো এবং সহযোগীদের আসন কমানোর জন্য অহঙ্কার না ছাড়লে সংবিধানে আস্থা রাখা ন্যায়প্রিয় দেশবাসী মাফ করবে না।’’ এ ভাবে আক্রমণ করায় কংগ্রেস নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ। রাজ্য নেতৃত্বকে সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।

লালুপ্রসাদ যাদব কোনও ভাবেই কংগ্রেসকে ৭টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি নন। কংগ্রেস বেশি আসন দাবি করলে জোট থেকে বেরিয়ে যেতে হতে পারে বলে ফোনে বাকি শরিকদের জানিয়েছেন লালু-ঘনিষ্ঠ এক আরজেডি বিধায়ক। ফোন করে বাকি শরিকদের আলাদা লড়াই করার কথা বলেছেন তিনি। এটা স্পষ্ট, শরিকদের নিজেদের দিকে টেনে কংগ্রেসের উপরে চাপ তৈরি করতে চাইছে আরজেডি। কংগ্রেসে বিহারে ১১টির কম আসনে লড়তে রাজি নয়। রাজ্যে কংগ্রেসের প্রচার সমিতির সভাপতি রাজ্যসভা সাংসদ অখিলেশ সিংহ সে কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন। গত বুধবার দিল্লিতে মহাজোটের নেতাদের সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বের বৈঠক হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু তার পরেও কোনও সমাধান সূত্রে বের করতে পারেনি কংগ্রেস।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আসলে কংগ্রেসের তালিকায় থাকা অনন্ত সিংহ, লাভলি আনন্দ, পাপ্পু যাদবদের জোটের প্রার্থী করতে নারাজ আরজেডি। এ ছাড়া বেগুসরাইয়ে কানহাইয়া কুমারকে প্রার্থী করতে চাইছেন না তেজস্বী। উপেন্দ্র কুশওয়াহার দলের মাধব আনন্দকে প্রার্থী করাতেও আপত্তি রয়েছে আরজেডির। একই ভাবে জিতনরাম মাঁঝিকে দু’টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেস। মুকেশ সহানিকেও পছন্দের আসনে টিকিট দিতে আপত্তি তুলেছেন কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব। শাসক শিবির তাদের আসনরফার পর্বটি সেরে ফেলেছে মসৃণ ভাবে। এটাও চাপে ফেলেছে বিরোধী শিবিরকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE