ছবি: সংগৃহীত।
নির্বাচনী প্রচারে বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তরুণদের কাছে ভোট চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ওই আবেদন জানিয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার আগে। বালাকোটে অভিযানের কথা বলে ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কি না, তা নিয়ে আজ দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ মিটে যাওয়ার পরেও সিদ্ধান্ত জানাতে পারল না কমিশন। যদিও আজ কমিশনের একটি সূত্র দাবি করেছে, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ওই প্রসঙ্গে আজ উপনির্বাচন কমিশনার চন্দ্র ভূষণ কুমার বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্র থেকে রিপোর্ট এসে গিয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’’ দিন দশেক আগে মহারাষ্ট্রের লাতুরে একটি জনসভায় নতুন ভোটারদের উদ্দেশে মোদী বলেছিলেন, তাঁরা যেন বালাকোট অভিযানের কথা মাথায় রেখে ভোট দেন। ওই বক্তব্য নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। সেনাবাহিনীর নাম করে প্রধানমন্ত্রী ভোট চেয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধীরা। ঘটনার পরে লাতুরের নির্বাচনী আধিকারিক একটি রিপোর্ট পাঠান দিল্লিতে। কমিশন সূত্রের খবর, ওই আধিকারিক তাঁর রিপোর্টে জানান, প্রধানমন্ত্রী ওই কথা বলে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।
যে হেতু প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে, তাই শুরু থেকে সাবধানে এগোনোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। বিষয়টি পাঠানো হয় কমিশনের আচরণবিধি সংক্রান্ত কমিটির কাছে। কিন্তু ঘটনার দশ দিন পরেও কেন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি, তা নিয়ে এখনও কোনও উত্তর দিতে পারেননি কমিশনের আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী লাতুরের জনসভায় সেনা প্রসঙ্গে যে যে কথা বলেছিলেন, প্রথমে তা খতিয়ে দেখা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় পরবর্তী ধাপে মোদীর ওই দিনের গোটা ভাষণের ট্রান্সক্রিপ্ট চেয়ে পাঠায় দিল্লি। কমিশনের আধিকারিকেরা ওই ট্রান্সক্রিপ্ট এখনও বিশ্লেষণ করেছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সম্প্রতি যোগী আদিত্যনাথ ও মায়াবতীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় কমিশন। তখনও বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রীর বালাকোট-মন্তব্য নিয়ে কমিশন এখনও নীরব কেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy