স্পর্শকাতর বুথে নজরদারি চালাতে মাইক্রো পর্যবেক্ষক, ভিডিয়োগ্রাফি, সিসি ক্যামেরা এবং ওয়েব কাস্টিং-এর ব্যবস্থা করে কমিশন। ছবি: রয়টার্স।
এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূচনা হয়েছিল। একাধিকবার তা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। লোকসভা ভোটে সেই অশান্তির চিহ্নমাত্র রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন। তাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার গোটা প্রক্রিয়া সরাসরি নির্বাচন সদন থেকে নজরদারি করবে তারা।
স্পর্শকাতর বুথে নজরদারি চালাতে মাইক্রো পর্যবেক্ষক, ভিডিয়োগ্রাফি, সিসি ক্যামেরা এবং ওয়েব কাস্টিং-এর ব্যবস্থা করে কমিশন। এই চারটি পদ্ধতির মধ্যে কোথায় কী ব্যবহার হবে, তা তারাই স্থির করে। এ বার মনোনয়ন প্রক্রিয়াতেই ওয়েব কাস্টিং-এর ব্যবস্থা করছে কমিশন। কমিশন বলেছে, প্রত্যেকটি রিটার্নিং অফিসারের অফিসে এমন ভাবে ওয়েব কাস্টিং ক্যামেরা ব্যবহার করতে হবে যাতে গোটা চত্বরটা দেখা যায়। রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরে একটি কন্ট্রোল রুম থাকবে। সেখানেও গোটা প্রক্রিয়াটি রেকর্ড করা হবে।
মনোনয়ন প্রক্রিয়াতেই কেন ওয়েব কাস্টিং? কমিশন সূত্রের বক্তব্য, মনোনয়নের সময়ে যাতে কোথাও কোন পক্ষপাতিত্বের বা গোলমালের অভিযোগ না ওঠে, সে কারণে এই নজরদারির ব্যবস্থা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত ভোটের অভিজ্ঞতা থেকেই হয়তো কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে বিরোধীরা মনোনয়ন পেশের সময় বাধা পাচ্ছেন কি না, বা শাসক দল বাড়তি লোকজন নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে আসছে কি না, তার উপরে নজর রাখা যায়। যদিও কমিশন সূত্রের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গে লোকসভা ভোট পরিচালনার কোনও সম্পর্ক নেই। ফলে এই দুইয়ের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজা অর্থহীন। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করতে কমিশন সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করছে। এটা তারই অঙ্গ।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ে রিটার্নিং অফিসারের অফিসে প্রার্থীর সঙ্গে কত জন যেতে পারবেন, সে বিষয়ে এখনই কোনও নির্দেশিকা জেলাগুলিতে পৌঁছয়নি। কমিশন সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে জেলা বা লোকসভা কেন্দ্রের পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy