—ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের শেষ দফায় পরীক্ষা খোদ নরেন্দ্র মোদীর। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা বুধবার বারাণসী যাচ্ছেন রোড শো করতে। পরদিন সভা হবে মায়াবতী-অখিলেশের। শেষ দফার ১৩টি আসনে যাতে বারাণসী বাদে আর কোথাও বিজেপি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, তার জন্যই কৌশল রচনা হচ্ছে বিরোধী শিবিরে। অখিলেশ যাদব প্রকাশ্যেই বলছেন, ‘‘সপ্তম দফায় একটি বাদে আর কোনও আসনই পাবে না বিজেপি।’’
বারাণসীতে প্রিয়ঙ্কাকে প্রার্থী না করার পর মোদীর কেন্দ্রে লড়াই অনেকটাই থিতিয়ে গিয়েছে। গত বার অরবিন্দ কেজরীবাল লড়ে ভাল টক্কর দিয়েছিলেন। কিন্তু এ বার মোদীর বিরুদ্ধে সেখানে কোনও ওজনদার প্রার্থী নেই। ফলে বারাণসী ছাড়া বাকি আসনগুলিতেই বেশি জোর দিতে চাইছেন বিরোধীরা।
বাকি ডজনখানেক আসনের মধ্যে কংগ্রেস কুশীনগরে জোর দিয়ে লড়ছে। অন্য আসনগুলিতে মায়া-অখিলেশের জুটি বিজেপিকে মাত করতে চাইছে। এসপি সূত্রের মতে, গত লোকসভা ভোটে প্রবল মোদী-ঝড় ছিল। সে ক্ষেত্রেও এসপি-বিএসপি যদি একসঙ্গে লড়ত, তা হলে সহজ অঙ্কে বালিয়া, গাজিপুর, চান্দৌলির মতো আসনে বিজেপিকে অনায়াসে হারানো সম্ভব হত। গাজিপুর থেকেই মনোজ সিন্হা, চান্দৌলি থেকে মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডের মতো বিজেপির বড় নেতারা জিতে এসেছেন। মহারাজগঞ্জ, ঘোসীর মতো আসনেও দুই দলের ভোট বিজেপির সঙ্গে কানায় কানায়। জোর দিতে হবে দেওয়ারিয়া, সালেমপুর, বাঁশগাওতে। অনুপ্রিয়া পটেলের মির্জাপুর আর রবার্টসগঞ্জে কংগ্রেস যদি ভোট না কাটে, তা হলেও বিরোধী জোটের জয় হবে বলে ওঁদের আশা। সূত্রের মতে, কংগ্রেসের সঙ্গেও তলায় তলায় যোগাযোগ রাখছে এসপি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কুশীনগর কেন্দ্রে কংগ্রেসের নেতা আরপিএন সিংহ লড়ছেন। কংগ্রেস চাইছে, এই কেন্দ্রে সমর্থন দিক এসপি-বিএসপি। আর বাকি কেন্দ্রে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে কামড় বসিয়ে বিরোধী জোটকে সাহায্য করার চেষ্টা করবে কংগ্রেস। গত ভোটেও কুশীনগর কেন্দ্রে বিজেপি যেখানে ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, কংগ্রেস পায় ৩০ শতাংশ ভোট। এসপি ও বিএসপি মিলিয়ে ছিল ২৬ শতাংশ। ফলে জোটের সাহায্য পেলে বিজেপি কুপোকাত হবে বলে আশায় কংগ্রেস।
২০১৪-য় যোগী আদিত্যনাথ তাঁর গড় গোরক্ষপুরে ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে ওই আসনে উপনির্বাচনে বিরোধী জোট জয় হাসিল করে। ওই কেন্দ্রে এ বারেও বিজেপির কম ওজনের প্রার্থী ভোজপুরি তারকা রবি কিষাণকে হারানো সম্ভব বলে মনে করছেন বিরোধীরা। আজই মায়াবতী, অখিলেশ ও অজিত সিংহ গোরক্ষপুরে যৌথ সভা করেছেন।
সমাজবাদী পার্টির এক নেতার মতে, ‘‘উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে যদি তিরিশটি আসনের নীচে রাখা যায়, তা হলে দিল্লিতে তাদের সরকার গড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হবে।’’ এর আগে রাজনাথ সিংহ নিজে মুখ ফস্কে বলে ফেলেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে ২০টি আসন খোয়ানো সহ্য করে নেবে দল। তবে বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী আজ দাবি করেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে যদি ৫০টি আসনের কম পায় বিজেপি, তা হলে আশ্চর্য হব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy