মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল সন্ধে ৬টায়। ফিরহাদ হাকিম যখন হলে ঢুকলেন, তখন সাড়ে সাতটা পেরিয়ে গিয়েছে। শিলচর আসনের প্রার্থী হিতব্রত রায় মঞ্চে ওঠার পরেও অসন্তোষ কমছিল না। এতটা দেরি! ফিরহাদ কোনও দিকে তাকাচ্ছিলেন না। পুরো মন যেন ঢেলে দিয়েছেন তাঁর মোবাইল সেটে। হঠাৎ ‘সাউন্ড সিস্টেম অপারেটর’-কে বলে ওঠেন, মাইক্রোফোন দিন তো। মাইক্রোফোন এগিয়ে দিতে দিতে শুধু দু’টো কথা শোনা গেল ফিরহাদের, ‘‘দিদি, সভা শুরু হবে তোমার মেসেজে।’’ পুরো হল চুপ।
বলতে শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘‘অসমে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম এনআরসি থেকে বাদ পড়া আমি আজও মেনে নিতে পারি না। সে সময় তৃণমূল প্রতিবাদ করেছিল। আজও করছে। তখন যে ভাবে পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছিলাম, আজও করছি।’’
তৃণমূল নেত্রীর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনের সব ক’টিতে তাঁরা জিতবেন। অসম থেকে কিছু পেলে, তিনি চেষ্টা করবেন, যাতে এখানকার মানুষও যেন ভাল থাকেন। এ বার দিল্লিতে সরকার গড়তে তৃণমূল বড় ভূমিকা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এর পরে দলনেত্রী ফিরহাদকে নির্দেশ দেন, ‘‘তুমিও এই কথাগুলি মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁদের বুঝিয়ে বলো।’’ হাততালি থামতে চায় না। পরে ফিরহাদ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কত ভাষা, কত ধর্মের মানুষের বাস। সেখানে কেউ কাউকে বিদ্বেষের নজরে দেখেন না। তা হলে এখানে এমন কেন!’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘বাংলাদেশি কি না পরীক্ষার জন্য যদি সকল বাঙালির নথি পরীক্ষা করা হয়, তবে তো পাকিস্তানি কি না খুঁজে দেখতে মনমোহন সিংহ, লালকৃষ্ণ আডবাণীদের নথিও দেখা উচিত। আর নথি পরীক্ষায় অসমিয়া ছাড় পাবে, বাঙালিদেরই দেখাতে হবে, এ কী রকম কথা? যদি এনআরসি করতে হয়, সকলের জন্য একই নীতি হওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy