Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

‘আলি-বজরংবলী দুই-ই আমাদের’, বলেন মায়াবতী

উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দের সভায় মায়াবতী বলেছিলেন, ‘‘আমি মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেদের বলতে চাই, আপনাদের ভোট ভাগ হতে দেবেন না। আপনারা শুধু বিএসপি, সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি)-র প্রার্থীদের ভোট দিন।’’

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
বদায়ূঁ শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫৭
Share: Save:

‘আলি’ ও ‘বজরংবলী’ বিতর্কে তরজা অব্যাহত। শনিবার এই বিষয়টি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে জবাব দিলেন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র নেত্রী মায়াবতী। বিএসপি নেত্রীর দাবি, ‘আলি’ ও ‘বজরংবলী’, দু’জনেই তাঁর দলের সঙ্গে আছেন। কারণ, বজরংবলীও যে তাঁর মতো দলিত সে কথা যোগীই বলেছেন।

উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দের সভায় মায়াবতী বলেছিলেন, ‘‘আমি মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেদের বলতে চাই, আপনাদের ভোট ভাগ হতে দেবেন না। আপনারা শুধু বিএসপি, সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি)-র প্রার্থীদের ভোট দিন।’’ জবাবে হিন্দু ভোট অটুট রাখতে যোগী বলেছিলেন, ‘‘এই ভোট আলির বিরুদ্ধে বজরংবলীর। কংগ্রেস, এসপি এবং বিএসপি-র যদি আলিতে বিশ্বাস থাকে, আমাদেরও তবে বজরংবলীতে বিশ্বাস রয়েছে।’’ এর উত্তরে শনিবার উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁতে মায়াবতী বলেন, ‘‘আলি এবং বজরংবলী, সবই আমাদের। তাই আমরা আলি এবং বজরংবলী, দু’জনকেই চাই। আলি বা বজরংবলী—কারও ভোটই বিজেপি পাবে না। নমো নমো করা লোকেরা বিদায় নেবে।’’

এ বারের ভোটে বদায়ূঁ থেকে লড়ছেন এসপি প্রার্থী ধর্মেন্দ্র যাদব। ২০১৪-র ভোটে বিজেপি হাওয়া সত্ত্বেও এই আসনটি থেকে জিতেছিলেন তিনি। এ দিন ধর্মেন্দ্রর সমর্থনে বদায়ূঁতে জোটসঙ্গী এসপি এবং আরএলডি-র সঙ্গে যৌথ ভাবে সভা করেন মায়া। ছিলেন এসপি প্রধান অখিলেশ যাদবও।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

গত বছর হনুমানকে দলিত বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আদিত্যনাথ। এ দিন বদায়ূঁর সভা থেকে সেই বিতর্ক উস্কে দিয়ে মায়াবতী বলেন, ‘‘বজরংবলীকে বিশেষ করে চাই। কারণ বজরংবলীও আমার মতো দলিত। আমি নই, আদিত্যনাথই এটা খুঁজে বার করেছেন। তিনি বলেছিলেন, বজরংবলী বনবাসী এবং দলিত। আমাদের পূর্বসূরি সম্পর্কে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি দেওয়ার জন্য আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ। এবং এটা খুবই আনন্দের যে আমাদের সঙ্গে আলি এবং বজরংবলী দুজনেই আছেন। দু’জনে মিলে নির্বাচনে আমাদের খুবই ভাল ফল দেবেন।’’

দেওবন্দের সভায় মন্তব্যের জন্য মায়াবতীকে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। প্রচারে ধর্ম এবং জাত টেনে আনার জন্য কমিশন চিঠি পাঠিয়েছে আদিত্যনাথকেও। খবর ছড়িয়েছিল, দেওবন্দের সভায় মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন মায়াবতী। এ দিন মায়াবতী বলেন, ‘‘কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করছে আমি কমিশনের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। কিন্তু এর মধ্যে এক বিন্দু সত্যি নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE