প্রচার শেষ। তবু ভোটের আগের দিন নরেন্দ্র মোদীর পরাজয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করলেন মায়াবতী। টুইটারে বিএসপি নেত্রীর প্রশ্ন, এ বারের বারাণসী কি ১৯৭৭-এর রায়বরেলী হবে? জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পরে সে বছর ভোটে গিয়েছিলেন ইন্দিরা গাঁধী। খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন জয়ের ব্যাপারে। কিন্তু ইন্দিরা হেরে যান রায়বরেলীতে। সে বার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রাজনারায়ণের মতো নেতা। ধারে বা ভারে তাঁর সঙ্গে মোদীর প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের অজয় সিংহের তুলনা চলে না। মায়া কিন্তু সামনে রাখছেন সামগ্রিক ভাবে উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলকে ঠকানোর অভিযোগকে।
বহেনজির যুক্তি, ‘‘পূর্বাঞ্চলকে যে সব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা রাখা হয়নি। উল্টে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে এই অঞ্চলের প্রতি। এবং এটা হয়েছে সেই সময়ে, যখন খোদ প্রধানমন্ত্রী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এই অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করছেন।’’ এই সূত্রেই বারাণসীতে রায়বরেলীর পুনরাবৃত্তির আশা করছেন বিএসপি নেত্রী। মায়ার বক্তব্য, ‘‘যোগী আদিত্যনাথকে প্রত্যাখ্যান করেছে গোরক্ষপুর। এ বার বারাণসী যদি মোদীকে প্রত্যাখ্যান করে— সেটা কি (গোরক্ষপুরের ওই) জয়ের চেয়ে ঢের বড় ঐতিহাসিক ঘটনা হবে না?’’
আর একটি টুইটে মোদীকে আক্রমণ করে মায়াবতী লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর গুজরাত মডেল উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলের অতি-দারিদ্র, বেকারত্ব ও অনগ্রসরতা দূর করতে সামান্যতমও সফল হয়নি। এটা গুরুতর প্রতিশ্রুতিভঙ্গ।’’ মায়ার আরও অভিযোগ, ‘‘মোদী-যোগীর ডাবল ইঞ্জিনের সরকার উন্নয়নের বদলে কেবল সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা, ঘৃণা ও হিংসাই দিয়েছে দেশকে। এটা খুবই দুঃখজনক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy