অনন্তনাগ কেন্দ্র নিয়ে আশঙ্কায় ছিল নির্বাচন কমিশন। সেই কেন্দ্রে প্রথম দফার ভোটে হিংসা না হলেও ভোট পড়ল একেবারে কম। পিডিপি নেত্রী ও অনন্তনাগ কেন্দ্রের প্রার্থী মেহবুবা মুফতির শহর বিজবেহারায় ভোট পড়ল মাত্র ২ শতাংশ। ভোটের পরে কোকেরনাগ এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নির্বাচন কর্মীদের একটি গাড়ি। তাতে হিলাল আহমেদ খান নামে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে।
সন্ত্রাস ও ভারত-বিরোধী মনোভাবের জেরে অনন্তনাগে তিন দফায় ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এ দিন প্রথম দফার ভোট ছিল অনন্তনাগ জেলায়। হিংসার আশঙ্কায় মোতায়েন করা হয় ৫০০ কোম্পানি বাহিনী। আজ সকালে টুইটারে মানুষকে বুথমুখী হতে অনুরোধ করেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। গত কয়েক বছরের অবিচার ব্যালটেই দিতে আর্জি জানান। কিন্তু দিন গড়াতেই বোঝা যায়, দক্ষিণ কাশ্মীরের এই এলাকায় ভোটদানের চিত্র বিশেষ সন্তোষজনক নয়। কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, অনন্তনাগে ভোট পড়েছে ১৩.৬১%।
আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ নিজের শহর বিজবেহারায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অফিসে তৈরি বুথে ভোট দেন মেহবুবা এবং তাঁর দুই মেয়ে। ওই অফিসের মধ্যে ছোট ছোট ঘরে সাতটি বুথ ছিল। তাতে বিকেল পর্যন্ত ভোট পড়ে মাত্র ৩১টি। মেহবুবা অবশ্য জেতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বুথ থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘‘বাবার কথা মনে পড়ছে। উনি আজ নেই। কিন্তু যে দলীয় কর্মীদের রেখে গিয়েছেন তাঁরা রয়েছেন। আমার আশা মানুষও আমার সঙ্গে।’’ ওই বুথে থাকা ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস এজেন্টরা অভিযোগ করেন, মেহবুবার এক মেয়ে বৈধ পরিচয়পত্র না দেখিয়েই ভোট দেন। কয়েক জন মহিলা মুখ ঢেকে ভোট দিয়েছেন বলেও অভিযোগ তাঁদের। বিজবেহারার অনেক বুথে ভোটই পড়েনি। কংগ্রেস প্রার্থী গুলাম আহমেদ মিরের শহর দুরুতে চিত্রটা কিছুটা ভাল। প্রথম তিন ঘণ্টায় দুরুতে ৪০০০ ভোট পড়েছে। সকালে ভোট দেন মির ও তাঁর ছেলে। কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে পরিচিত কোকেরনাগেও ভোট পড়ে প্রায় ৫ হাজার। অনন্তনাগে প্রথম দফায় হিংসা না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে প্রশাসন। কিন্তু পুলওয়ামায় ভোট বাকি। তাই কোমর বাঁধছেন প্রশাসন ও বাহিনীর কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy