Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
general-election-2019-national

জঙ্গিদের খুঁজে মারছে নতুন ভারত: মোদী

আজমগড়ে সমাজবাদী পার্টি-বিএসপি জোটের প্রার্থী অখিলেশ যাদব। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বিষোদ্গার ছিল তীব্র। মোদী বলেন, ‘‘এই দলগুলি জাতপাত আর ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। মহাভেজাল জোট দেশকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা 
আজমগড় শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৯ ০৩:১১
Share: Save:

যে ভারত গোপন আস্তানা থেকে জঙ্গিদের খুঁজে বের করে মারছে, তাকে নতুন ভারত হিসেবে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে ভোটপ্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ দাবি করেন, কেন্দ্রে একমাত্র শক্তিশালী সরকারই জঙ্গিদের কোণঠাসা করতে পারবে। তাই দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই দিল্লিতে খিচুড়ি সরকারের থেকে ভোটারদের সতর্ক থাকার জন্য বললেন তিনি। মোদী দাবি করেন, মহাভেজাল জোটের খিচুড়ি সরকার গঠিত হলে দেশে অরাজকতা ও অস্থিরতার সৃষ্টি হবে।

আজমগড়ে সমাজবাদী পার্টি-বিএসপি জোটের প্রার্থী অখিলেশ যাদব। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বিষোদ্গার ছিল তীব্র। মোদী বলেন, ‘‘এই দলগুলি জাতপাত আর ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। মহাভেজাল জোট দেশকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। ....এরা ভারতের উপর কর্তৃত্ব করার জন্য পাকিস্তানকে সুযোগ করে দিচ্ছে।’’ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তিনি ক্ষমতায় আসার আগে, আজমগড়ের নাম শুধু জঙ্গিহানার যোগের কারণে তদন্তকারী সংস্থার মুখে শোনা যেত। জঙ্গিদের মদতদাতাদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি ও বিএসপি নেতারা। এই বিরোধীরা ক্ষমতায় থাকার সময়ে সন্ত্রাসবাদীদেরও জাত ধর্ম খতিয়ে দেখা হত। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ২০১৪ সালে তিনি সরকার গড়ার পর থেকে আজমগড়ের সঙ্গে সন্ত্রাসের যোগ শেষ হয়ে গিয়েছে। জঙ্গি কার্যকলাপ জম্মু-কাশ্মীরে ভারত-পাক সীমান্ত এলাকাতেই সীমাবদ্ধ।

জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জ সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করায় তাঁর সরকারের কৃতিত্ব দাবি করেন মোদী। তাঁর মতে, কেন্দ্রে শক্তিশালী সরকারের পক্ষেই এটা করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘অতীতে মাসুদ আজহারের প্রসঙ্গে ভারতের পাশে দাঁড়াতে অন্য দেশগুলির মধ্যে দ্বিধা দেখা যেত। কিন্তু মাসুদের ব্যাপারে এখন সবাই আমাদের সঙ্গে।’’ পাকিস্তানে সেনা অভিযানের প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘‘এটাই হল নতুন ভারত, যে দেশ জঙ্গিদের গোপন আস্তানায় গিয়ে আঘাত করে।’’ মনমোহন সিংহ সরকারের আমলের দুর্নীতি নিয়েও সরব হন মোদী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘টুজি কেলেঙ্কারির জন্যই সাধারণ মানুষের হাতে মোবাইল পৌঁছতে পারেনি।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আজমগড়ে অখিলেশের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ভোজপুরী তারকা দীনেশলাল যাদব ওরফে নিরাহুয়া। পূর্বাঞ্চল এলাকায় তাঁকে প্রার্থী করে অখিলেশকে চাপের মধ্যে রাখতে চেয়েছে বিজেপি। মোদীর বক্তৃতায় তাই উঠে এসেছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে ভোজপুরি সিনেমার জনপ্রিয়তার কথা। জনতার উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘‘যেখানেই যাই, মানুষের মধ্যে একই ছবি। ফির এক বার..।’’ সমর্থকেরা আওয়াজ তোলেন, ‘‘মোদী সরকার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE