Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
National News

কথায় নয়, মানুষ কিন্তু এবার ভোট দেবেন আমাদের কাজ দেখে, মনে করালেন নিতিন

সরাসরি কারও নামোল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার আর তাঁর দলের নেতৃত্বকে এই বার্তাই দিলেন নাগপুর লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।

কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে

কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:২৯
Share: Save:

শুধু কথায় আর কাজ হবে না। এ বার কাজের হিসেব দিতে হবে। আর সেই কাজের ক্ষেত্রে কোনও পক্ষপাতিত্ব হয়েছে কি না, ভোট দেওয়ার আগে মানুষ সেই হিসেব মিলিয়ে নেবেন। না পারলে, মানুষ সুযোগ দেবেন বিরোধীদের।

সরাসরি কারও নামোল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার আর তাঁর দলের নেতৃত্বকে এই বার্তাই দিলেন নাগপুর লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী

এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গডকড়ী বলেছেন, ‘‘দেখুন, এ বার কিন্তু মানুষ ভোট দেবেন সরকারের কাজের হিসেব কষে। গত ৫ বছরে শাসক দল কী করল আর কী করতে পারল না, মানুষ সেটাই আগে খতিয়ে দেখবেন। তাঁরা যদি মনে করেন, আমরা কাজ ভাল ভাবে করতে পারিনি, তা হলে তাঁরা সুযোগ দেবেন বিরোধীদের।’’

আরও বেশি শক্তি নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসতে প্রধানমন্ত্রী মোদীও এখন তাঁর ভোটপ্রচারে বার বার বলছেন, কৃষি থেকে শিল্প, সবক’টি ক্ষেত্রেই তাঁর সরকার গত ৫ বছরে কী কী করেছে। ক’টি কল্যাণমূলক প্রকল্প হয়েছে।

আরও পড়ুন- ভোটযুদ্ধে ছড়ার ছড়াছড়ি

আরও পড়ুন- সুষমার আশীর্বাদ নিয়ে বিজেপি অফিসে ঢুকলেন নিতিন​

নিতিনের বক্তব্য, জাতপাত নয়, স্বজনপোষণও নয়। কাজ, শুধু কাজই পারে যে কোনও ক্ষমতাসীন দলকে ফের ক্ষমতায় ফেরাতে।

সেই কাজের নিরিখে নিজের মূল্যায়নেও মুখে কুলুপ এঁটে থাকেননি কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘কোনও দিনই জাতপাতের রাজনীতিকে উস্‌কে দিইনি। উৎসাহ দিইনি স্বজনপোষণকেও। আর নিজে কী কাজ করেছি, তা যদি জানতে চান, তা হলে বলব, এখনও পর্যন্ত যা যা করেছি, সেই সবই সিনেমার ট্রেলারের মতো। আসল সিনেমাটা দেখা এখনও বাকি রয়েছে।’’

দিনকয়েক আগে তাঁর ব্লগটা যে সুরে লিখেছিলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, অনেকটা সেই সুরেই নিতিন বলেছেন, ‘‘মতাদর্শের ভিন্নতা থাকতেই পারে। কিন্তু তার ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভাজন কোনও সরকারই করতে পারে না। রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে বিরোধী বলেই কেউ ব্রাত্য হয়ে পড়তে পারেন না। আমরা পুঁজিবাদ, সাম্যবাদ, সমাজবাদ, সবই দেখেছি। দেখেছি, মানুষ ওই সব কিছুর উপরেই আর ভরসা রাখতে পারছেন না। আমার দল (বিজেপি) তাই বিশ্বাস করে রাষ্ট্রবাদে (জাতীয়তাবাদ)।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE