কেরলে লোকসভা ভোটগ্রহণের ঠিক আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কংগ্রেস সাংসদ এম কে রাঘবনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ। কাজ করে দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে সাংসদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে।
ভোটের মুখেই একটি হিন্দি চ্যানেলের গোপন ক্যামেরায় কোঝিকোড়ের সাংসদ রাঘবনকে ঘুষ চাওয়ার কথা বলতে শোনা গিয়েছিল। একটি হাসপাতালে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের বিনিময়ে তাঁর কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারের খরচ জোগানো হবে কি না, তা জানতে চাইছেন রাঘবন— এমনই দেখা গিয়েছিল ‘স্টিং অপারেশন’-এ। কোঝিকোড়ের কংগ্রেস প্রার্থী রাঘবন অবশ্য পাল্টা অভিযোগ করেছিলেন, ওই ভিডিয়ো ফুটেজ সাজানো’। ভিডিয়ো ফুটেজ থেকে সিডি তৈরি করে বিলি করার দায়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেছেন তিনি। সিপিএম যদিও রাঘবনের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের নালিশ করেছিল কমিশনের কাছে। শেষ পর্যন্ত কমিশনের নির্দেশে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রার্থীর বয়ান রেকর্ড করেছে।
অমেঠীর উদাহরণ টেনে কেরলের ওয়েনাডের এনডিএ প্রার্থী তুষার ভেল্লাপল্লি আবার কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল গাঁধীর মনোনয়ন আটকে দিয়ে ওই কেন্দ্রে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন জেলাশাসক তথা রিটার্নিং অফিসারের কাছে। তাঁর বক্তব্য, রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে অমেঠীর এক নির্দল প্রার্থী প্রশ্ন তোলায় সেখানকার রিটার্নিং অফিসার কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের স্ক্রুটিনি স্থগিত রেখেছেন। তা হলে ওয়েনাডে অন্যথা হবে কেন? ভারতীয় ধর্ম জনসেনার (বিডিজেএস) প্রার্থীর চিঠি সঙ্গে দিয়ে কেরলের এনডিএ নেতৃত্বও সে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে ওয়েনাডে ভোট স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy