প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।
তিনি পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। সেই প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে সামনে রেখেই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের চূড়ান্ত প্রচারে নামছে কংগ্রেস।
শুক্রবার পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে একাধিক জনসভা করবেন নরেন্দ্র মোদী। ঠিক সেই দিনেই কার্যত তাঁকে টক্কর দিতে দিল্লি লাগোয়া উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমতম প্রান্তের গাজিয়াবাদে শুক্রবার ‘রোড শো’ করবেন প্রিয়ঙ্কা। বৃহস্পতিবারেই তিনি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে কেরলের ওয়েনাডে গিয়েছিলেন। গাজিয়াবাদে বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিংহের বিরুদ্ধে তরুণ নেত্রী ডলি শর্মাকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস।
পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের প্রচারেও যে প্রিয়ঙ্কাকে কাজে লাগানো হবে, কংগ্রেস তা আগেই জানিয়েছিল। বস্তুত সোমবারেই রাহুল ও প্রিয়ঙ্কার একত্রে জনসভার কর্মসূচি রয়েছে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে। কৈরানা লোকসভা কেন্দ্রের শামলীতে রাহুল-প্রিয়ঙ্কার বিরাট জনসভার আয়োজন চলছে। পাশাপাশি সহারানপুর ও বিজনৌরেও রাহুল-প্রিয়ঙ্কার জনসভা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এই তিনটি কেন্দ্রেই কংগ্রেসের প্রার্থীরা ভাল টক্কর দেবেন বলে মনে করছে দল। ১১ এপ্রিলের ভোটের আগে ওই সব কেন্দ্রে রাহুল-প্রিয়ঙ্কার জনসভা তাতে আরও মাত্রা যোগ করবে। সূত্রের খবর, রাহুল ১০ তারিখে অমেঠীতে, সনিয়া গাঁধী ১১ তারিখে রায়বরেলীতে মনোনয়ন পেশ করবেন। সেখানেও থাকবেন প্রিয়ঙ্কা।
এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গের মতো নানা রাজ্যের নেতারা প্রিয়ঙ্কাকে তাঁদের রাজ্যে প্রচারে চাইছেন। একের পর এক অনুরোধ আসতে শুরু করেছে প্রিয়ঙ্কার দফতরে। কিন্তু তিনি যে রাহুলের পিছনেই থাকবেন, তা আজ ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু একই সঙ্গে নতুন জল্পনাও উসকে দিয়েছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ওয়েনাডে রাহুলের মনোনয়ন জমার পরে আজ প্রিয়ঙ্কা টুইট করে বলেছেন, ‘দাদা আমার সত্যিকারের বন্ধু এবং আমার পরিচিতদের মধ্যে সব থেকে সাহসী মানুষ। ওয়েনাড, ওঁর খেয়াল রাখবেন। উনি আপনাদের হতাশ করবেন না।’ প্রিয়ঙ্কার এই শেষ বাক্য থেকে প্রশ্ন উঠেছে, দু’টি আসনে জিতলে রাহুল কি অমেঠী ছেড়ে দিয়ে ওয়েনাড আসন রাখবেন? সে ক্ষেত্রে প্রিয়ঙ্কা কি অমেঠী থেকে উপ-নির্বাচনে লড়ে লোকসভায় আসবেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy