Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
National news

প্রাক্তন প্রধানের প্রশ্নে বড় বিড়ম্বনায় কমিশন

কুরেশি মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে ছিলেন ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। বিবৃতিতে তিনি আজ বলেছেন, নিজের কর্তব্য করা সত্ত্বেও কমিশন যে ভাবে এক নির্বাচনী অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে, তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:১০
Share: Save:

প্রাক্তন আমলাদের পরে এ বার ভোট মরসুমে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সরব হলেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও কমিশন যে ভাবে চোখ বন্ধ করে রয়েছে, তাতে কমিশনের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাত’-এর অভিযোগ উঠেছে বলে আজ একটি বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। বালাকোট অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে ভোট চাওয়া, প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার থেকে রহস্যজনক বাক্স উদ্ধারের মতো ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না-নিয়ে কমিশন নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলছে বলেই মত কুরেশির।

কুরেশি মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে ছিলেন ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। বিবৃতিতে তিনি আজ বলেছেন, নিজের কর্তব্য করা সত্ত্বেও কমিশন যে ভাবে এক নির্বাচনী অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে, তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। এতে কমিশন ও প্রধানমন্ত্রী দু’পক্ষই নিজেদের গরিমা হারিয়েছে।

সম্প্রতি সম্বলপুরের একটি সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। হেলিপ্যাডে থাকা প্রধানমন্ত্রীর কপ্টারে আপত্তিজনক কিছু রয়েছে কি না, তা দেখতে যান ওই রাজ্যে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে মোতায়েন কর্নাটক ক্যাডারের আইএএস অফিসার মহম্মদ মহসিন। তল্লাশিতে অবশ্য কিছুই মেলেনি। কিন্তু কেন প্রধানমন্ত্রীর মতো এসপিজি নিরাপত্তাধারীর কপ্টারে তল্লাশি চালানো হয়েছে, সেই অভিযোগে মহসিনকে সাসপেন্ড করে কমিশন। যা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। গত কাল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সচিব ই এ এস শর্মা এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে চিঠি দেন কমিশনকে। তার পরেই আজ সকালে এল কুরেশির বিবৃতি। এক প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারই কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় অস্বস্তিতে এর কর্তারা।

কুরেশির বক্তব্য, কমিশন ও প্রধানমন্ত্রীর পদ— দু’টিই সর্বদা জনতার আতসকাচের নীচে রয়েছে। অথচ, ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী বারবার আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। অথচ চোখ বুজে রয়েছে কমিশন। এতে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কুরেশির মতে, প্রধানমন্ত্রীর চপারে তল্লাশির ঘটনাটিকে ইতিবাচক ভাবে দেখানোর সুযোগ ছিল উভয় পক্ষের কাছে। আইনের চোখে একজন প্রধানমন্ত্রী ও সাধারণ মানুষের মাপকাঠি যে একই— এই বিষয়টি তুলে ধরতে পারত কমিশন। কুরেশির কথায়, ‘‘উভয় শিবিরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা ওই একটি পদক্ষেপে ধুয়েমুছে যেত। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, দু’পক্ষই উল্টো রাস্তাটি নিয়েছেন। তাতেই বিষয়টি বড় আকার নিচ্ছে।’’

ঘটনাচক্রে রৌরকেলায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের কপ্টারে তল্লাশি চালায় কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াড। সেই ভিডিয়োতে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তল্লাশি চালাতে দেখা যায় কমিশনের আধিকারিকদের। কুরেশি লিখছেন, ‘‘তল্লাশির সময়ে পট্টনায়কের মনোভাব তারিফযোগ্য। গোটা বিষয় তিনি যে ভাবে সামলেছেন, তা তাঁর ভাবমূর্তিকেই উজ্জ্বল করেছে। দেশের নেতাদের কাছে এ ধরনের আচরণই প্রত্যাশা করে জনগণ।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE