—ফাইল চিত্র।
চৌকিদার নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেসের তরজার মাঝেই এ বার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ পঞ্জাবের চৌকিদার সংগঠন। রাজনৈতিক দলগুলি যাতে তাদের বাদানুবাদে চৌকিদার পেশা নিয়ে কোনও রকম কটাক্ষ না করে সেই বিষয়ে আর্জি জানায় সংগঠনটি। এক দিকে ‘ম্যায়ঁ ভি চৌকিদার’ প্রচার শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্য দিকে রাফাল ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী আওয়াজ তুলেছিলেন ‘চৌকিদার চোর হ্যায়ঁ’। অভিযোগ, সেই স্লোগানে কালিমালিপ্ত হচ্ছে বাস্তবের চৌকিদারদের ভাবমূর্তি। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে ওই সংগঠনটি। সম্প্রতি লুধিয়ানায় এই নিয়ে বৈঠক করে রেভিনিউ চৌকিদার সোসাইটি।
সংগঠনের সভাপতি যশবেন্দ্র সিংহ ঝান্ডে জানান, বাস্তবের চৌকিদারদের কাজ করা কঠিন হয়ে উঠেছে। কারণ, কাজে গেলেই সাধারণ মানুষ তাদের কটাক্ষ করে ‘চোর’ বলছেন। তিনি জানান, কোনও নেতা যদি তাঁর নামের আগে চৌকিদার লেখেন এমনকি তা যদি নরেন্দ্র মোদীও হন, তাও মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। মাত্র ১২৫০ টাকার বিনিময়ে কে সারা রাত পঞ্জাবের গ্রাম পাহারা দেবেন? প্রশ্ন তাঁর। রাহুলের স্লোগান নিয়েও আপত্তি জানিয়েছেন ঝান্ডে। তার মন্তব্য, ‘‘আমরা চোর নই। সততার সঙ্গে কাজ করেই আমাদের সংসার চালাতে হয়।’’
চৌকিদার তরজা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন জালন্ধরের ৪৯ বছরের মহিলা চৌকিদার কুলদীপ কৌরও। তিনি পঞ্জাবের অর্থ, পুনর্বাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে কর্মরত। কয়েক বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পরে চৌকিদারকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি। তাঁরও অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে তাঁদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘রাত ন’টা থেকে ভোর চারটে পর্যন্ত কাজ করতে হয়। কয়েক মাস আগে পর্যন্তও আমাদের বেতন নিয়মিত ছিল না। মাত্র ১২৫০ টাকায় কী ভাবে আমাদের সংসার চলে, তা কি মোদী জানেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy