প্রধানমন্ত্রী সরব দীর্ঘ দিন ধরেই। এ বার লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন এক সঙ্গে চেয়ে আজ আইন কমিশনকে চিঠি দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর দাবি, উন্নয়নের স্বার্থে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একই সময়ে হোক। এতে অন্তত নির্বাচনের নামে ফি বছর উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে থাকবে না। এ দিকে চলতি বছরে চারটি রাজ্যে, আগামী বছরে সাতটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তাই সব রাজ্যে না হলেও, প্রাথমিক ভিত্তিতে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে ওই ১১টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এক সঙ্গে করার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কমিশন।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এক দেশ এক ভোটের পক্ষ সরব নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীরা আপত্তি জানালেও, পাশে শরিক নেতা নীতীশ কুমার বা বিজেডির নবীন পট্টনায়ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা চন্দ্রবাবু নায়ডুরা এর ঘোর বিরোধী হলেও, অখিলেশ যাদব রাজি। নির্বাচন কমিশনের একাংশও নীতিগত ভাবে ওই প্রস্তাবে রাজি। আজ এ নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার দাবি জানিয়ে আইন কমিশনের কাছে অমিত শাহের চিঠি পৌঁছে দিলেন ভূপেন্দ্র যাদব, মুখতার আব্বাস নকভিরা। চিঠিতে অমিত লিখেছেন, ‘‘ভারতের মতো দেশে সারা বছর নির্বাচন লেগে রয়েছে। নির্বাচন ঘোষণা হতেই আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ হয়ে পড়ে। এর ফলে উন্নয়নমূলক কাজও থমকে যায়।’’ তাঁর মতে, এক সঙ্গে বিধানসভা-লোকসভা ভোট হলে খরচও কমবে।
পাঁচ বছরে একই সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের পক্ষে সওয়াল করেছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে কোনও মিল নেই। তবে এ দেশের ভোটার যথেষ্ট বুদ্ধিমান। তাঁরা রাজ্য ও কেন্দ্রের সমস্যা মাথায় রেখেই ভোট দেবেন।’’ অমিত শাহ খরচ কমার যে যুক্তি দিয়েছেন তা নির্বাচন কমিশন মেনে নিলেও, গোটা দেশে এক সঙ্গে বিধানসভা-লোকসভা নির্বাচন হলে নিরাপত্তা কর্মীর চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে বলে মনে করেন কমিশন কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy