প্রতি বছর বাজেটের আগে ইক্যুইটিগুলিতে দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভ বা লং টার্ম ক্যাপিটাল গেন (এলটিসিজি) থেকে কর আদায় করার বিষয়টি উঠে আসে। তবে এখনও পর্যন্ত প্রতি বারই সরকার এ ক্ষেত্রে কর ছাড় বজায় রেখেছে।
বর্তমানে, যদি আপনি স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কোনও শেয়ার কেনেন, তবে আপনাকে নিরাপত্তা লেনদেন কর বা সিকিউরিটি ট্র্যানজাকশান ট্যাক্স (এসটিটি) দিতে হয়। কিন্তু শেষ কয়েক বছরে বাজার যতটা বৃদ্ধি পেয়েছে, এসটিটি থেকে আয় সেই হারে বাড়েনি। এর ফলে এলটিসিজি চালুর প্রসঙ্গটি আবার চালু করার বিষয়টি সামনে আসছে। ২০০৫ সালে ইক্যুইটিতে এলটিসিজি বিলুপ্ত হয়।
যদি আপনি ১২ মাসের বেশি সময়ের জন্য কোনও ইক্যুইটি শেয়ার বা কোনও ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট ধরে রাখেন, তাহলে লাভের উপর কোনও এলটিসিজি দিতে হয় না। যদি আপনি এক বছরের আগে আপনার ইকুইটি হোল্ডিং বিক্রি করেন, তাহলে স্বল্পমেয়াদী মূলধন লাভ বা শর্ট টার্ম ক্যাপিটাল গেন (এসটিসিজি) কর দিতে হয়। এই করের পরিমাণ ১৫ শতাংশ। ডেট মার্কেটেও তিন বছরের আগে শেয়ার বিক্রয় করলে কর দিতে হয়।
আশা করা হচ্ছে যে, সরকার এসটিটি (বর্তমানে যা ০.১ শতাংশ) বৃদ্ধি করতে পারে অথবা এলটিসিজি ফের চালু করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকার হয় গ্রাহককে তার কাছে রাখা শেয়ারের জন্য কোনও সময়সীমাই বেঁধে দেবে না, অথবা এলটিসিজির ক্ষেত্রে শেয়ার রাখার মেয়াদ ১২ মাসের পরিবর্তে ৩৬ মাস করে দেবে।
এই বৈষম্য দূর করতে সরকার আসন্ন বাজেটে বেশ কিছু প্রস্তাব আনবে বলে মনে হয়। সে ক্ষেত্রে তিন বছরের বেশি স্টক ধরে রেখে তা বিক্রি করলে এলটিসিজি না নেওয়া হতে পারে। আর তা হলে এসটিসিজি থেকে সরকারের আয় বাড়বে বলেই মনে হয়।
জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে রাজস্বের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। এই অবস্থায় আগামী অর্থবর্ষে রাজস্বের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য সরকারের উপর বিপুল চাপ রয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের প্রথম আট মাসে রাজস্ব ঘাটতি পৌঁছেছে ৬.১২ লক্ষ কোটি টাকায় যা পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রার (৫.৪৬ লক্ষ কোটি) ১১২ শতাংশ।
এই মুহূর্তে এক অসাধারণ উচ্চতায় রয়েছে সেনসেক্স। অন্য দিকে প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটাই বেশি হয়েছে রাজস্ব ঘাটতি। এই অবস্থায় পরবর্তী অর্থবর্ষে সরকারকে বাঁচাতে পারে আরও মজবুত স্টক মার্কেট। আর তাই এই বাজেটে এলটিসিজি প্রবর্তনের সম্ভাবনা বেশ কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy