অঙ্ক-ইংরেজি-বিজ্ঞানের মতো প্রথাগত বিষয় না পড়িয়ে শুধু ধর্মীয় বিষয়ের উপর শিক্ষা দেওয়া মাদ্রাসাগুলির স্বীকৃতি বাতিল করা হবে বলে ঘোষণা করল মহারাষ্ট্র সরকার। বিজেপির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সংখ্যালঘু নেতারা। প্রতিবাদ করা হয়েছে বিরোধীদের তরফেও।
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রী একনাথ খাড়সে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দেন, যে যে অনুমোদিত মাদ্রাসায় প্রাথমিক বিষয়গুলি পড়ানো হয় না, সেগুলিকে ‘নন-স্কুল’ বলে জানিয়ে দিল সরকার। আর সে সব মাদ্রাসার পড়ুয়াদেরও ‘স্কুলছুট’ বলেই চিহ্নিত করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘সংবিধান অনুযায়ী, প্রতিটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু মাদ্রাসাগুলিতে তা দেওয়া হয় না।’’
মাদ্রাসার নিয়ম অনুযায়ী, ইসলাম ধর্মাবলম্বী না হলে মাদ্রাসায় পড়ার সুযোগ পায় না কোনও পড়ুয়া। আর সে কারণেই মাদ্রাসাগুলিকে স্কুল হিসেবে মেনে নেওয়া যায় না, শুধু ধর্মশিক্ষার কেন্দ্র হিসেবেই থেকে যায় বলে জানান খাড়সে। এ-ও জানান, যে যে মাদ্রাসা অঙ্ক-ইংরেজি-বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয় চালু করতে রাজি হবে, সেগুলিকে স্কুলের তকমা দেওয়া হবে। ৪ জুলাই স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে এ বিষয়ে সর্বেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সরকারি সূত্রের খবর, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ। শুধু ধর্মশিক্ষায় আটকে না থেকে প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তারা যাতে ভাল বেতনের চাকরি পেতে পারে, সেটাই নিশ্চিত করতে চায় বিজেপি সরকার। রাজ্যের মোট ১৮৯০টি মাদ্রাসার মধ্যে ৫৫০টি মাদ্রাসা প্রথাগত বিষয়গুলি তাদের পাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে রাজি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন খাড়সে। বলেছেন, ‘‘এর জন্য মাদ্রাসাগুলিকে আর্থিক সাহায্য করতেও রাজি সরকার। প্রয়োজনে শিক্ষকও সরবরাহ করা হবে।’’ সারা ভারত মাদ্রাসা সংগঠনের সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি পাল্টা যুক্তি দিয়ে দাবি করেছেন, এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy