Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

সমঝোতা আর সংঘাত, জোড়া লক্ষ্য নিয়ে মমতার দিল্লি যাত্রা

এক দিকে পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। অন্য দিকে বিরোধী মঞ্চকে সুসংহত করে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী নিয়ে সর্বসম্মতি গড়ে তোলা। জোড়া লক্ষ্য নিয়ে ফের দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

অগ্নি রায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৭ ০৩:৫২
Share: Save:

এক দিকে পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। অন্য দিকে বিরোধী মঞ্চকে সুসংহত করে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী নিয়ে সর্বসম্মতি গড়ে তোলা। জোড়া লক্ষ্য নিয়ে ফের দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এগিয়ে এলেও এখনও যথেষ্ট চাঙ্গা নয় বিরোধী দলগুলি। তবু ওই নির্বাচনকে উপলক্ষ করেই মোদী-বিরোধী মঞ্চকে সক্রিয় করে তুলতে তৎপর মমতা। আগামী তিন দিন বিরোধী জোটের গয়ংগচ্ছ মনোভাব কাটানোর চেষ্টায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে তাঁকে। আগামিকাল রাজ্যের আর্থিক দাবিদাওয়া আদায় ও সর্বসম্মত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দেওয়া নিয়ে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। বিরোধী নেতারা পরশু সংসদের অ্যানেক্স ভবনে বৈঠকে বসবেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঠিক করা নিয়ে আলোচনা করতে। তার আগে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলতে পারেন মমতা। কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল এ দিন রাতেই এক দফা কথা বলে গিয়েছেন মমতার সঙ্গে। তিনি অবশ্য বিভিন্ন মামলায় রাজ্য সরকারের আইনজীবীও।

আরও পড়ুন:

রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রশ্নে বিরোধীদের গয়ংগচ্ছ মনোভাব নিয়ে প্রশ্নে তৃণমূল নেত্রী আজ বলেন, ‘‘বিরোধীরা সক্রিয় নয়, এমন ভাবার কারণ নেই। সব দলই নিজের মতো করে সর্বসম্মত প্রার্থী খুঁজছে।... আমার কোনও ব্যক্তিগত পছন্দ নেই। আমরা সব সময়ই সর্বসম্মতির পক্ষে। বৈঠক হবে সেই লক্ষ্যেই।’’ তবে সেই বৈঠক সফল করতে মমতাকে এগোতে হচ্ছে বিরোধী নেতাদের গা-ছাড়া মনোভাব উজিয়ে। এতে তৃণমূল নেত্রীর উপরেই বোঝা চাপছে। অনেকগুলি কারণে।

চাপ-১: অঙ্কের হিসেবে বিরোধীরা পিছিয়ে আছেন। তাঁদের কোনও রাজনৈতিক নেতাই প্রার্থী হতে রাজি নন। গোপালকৃষ্ণ গাঁধী বা অন্য যে নামই তুলে ধরা হোক না কেন, তাঁর জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ। আর প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম যে মোদী বিবেচনা করছেন না, সে কথা বিজেপি সূত্র ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে।

চাপ-২: বিজেপি তৎপর বিরোধী ঐক্যে ভাঙন ধরাতে। উত্তরপ্রদেশে সদ্য মাথা চাড়া দেওয়া ভীম সেনার নেতা চন্দ্রশেখরের মতো দলিতকে উস্কে মায়াবতীকে চাপে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। চিট ফান্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত চলছে নবীন পট্টনায়কের বিরুদ্ধে।

চাপ-৩: নেতাদের ‘ইগো’ সামলে তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলে, এক জায়গায় বসানোও সহজ নয়। লালু প্রসাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মমতা। তিনি আসবেন। কিন্তু নীতীশ কুমার থাকছেন না। নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে কথা বলেছেন সীতারাম ইয়েচুরি ও মমতা দু’জনেই। তিনিও আসছেন না। রাজধানীতে জল্পনা, বিজেপি কি নবীনের সঙ্গে দর কষাকষি করছে?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE