মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ মুহূর্তে কোনও পরিবর্তন না হলে এ মাসের শেষে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি আসছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রীর দিল্লি আসার কথা ২৮ তারিখ। এখনও পর্যন্ত স্থির আছে, ৩০ অগস্ট তেলুগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডুর উদ্যোগে ওই বৈঠকটি হবে। ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী-সহ ১৭টি বিরোধী দলের নেতার।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে সার্বিক বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতেই এই বৈঠকটি হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় সংসদের অ্যানেক্স ভবনে একযোগে বৈঠকে সামিল হয়েছিল এতগুলি বিরোধী দল। সেই বৈঠকেই মমতা জানান, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, সেখানে সেই দল বিজেপির বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিক। বাকিরা একযোগে তাকে সমর্থন করুক। এই অবস্থানের কথা এর পর একাধিক বার দিল্লি এসে বলেছেন তিনি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়েই কংগ্রেস এবং তৃণমূল পৃথক ভাবে বৈঠক করেছে অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে। কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, মোদীর বিরুদ্ধে বিরোধী জোট হোক, কিন্তু তা হোক রাহুলের নেতৃত্বে। কংগ্রেসের এই অবস্থান মানতে আপত্তি রয়েছে তৃণমূল, তেলুগু দেশমের মতো দলগুলির। মমতা শিবিরের আপত্তি অজানা নয় রাহুলের। তাই তিনি ঘনিষ্ঠ শিবিরে জানিয়েছেন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য বিজেপিকে ২০১৯-এ সরানো। তার জন্য তিনি সব ধরনের কৌশল নিতে তৈরি। খুব শীঘ্রই মমতার সঙ্গে বসে মোদী-বিদায়ের রণকৌশল স্থির করতে চান তিনি। মমতার আসন্ন সফরেই সেই বৈঠক হতে পারে বলে রাজনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে তৃণমূল নেত্রী আলাদা ভাবে কথা বলেছেন, চন্দ্রশেখর রাও, চন্দ্রবাবু নায়ডু, অরবিন্দ কেজরীবাল এবং সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে। সংসদে এসে দেখা করেছেন এসপি, বিএসপি, এনসিপি-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদের সঙ্গে। অন্য দিকে রাহুলও বিভিন্ন বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ বার তাই এতগুলি দলের বৈঠককে বিরোধী রাজনীতির প্রেক্ষিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, কেরলের বন্যা নিয়ে মোদী সরকারের ভূমিকারও সমালোচনা করা হবে এই বৈঠকে।
আরও পড়ুন: দলের সিন্দুক ভরতে রাহুলের ভরসা আহমেদ
বছরের শেষেই রয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ের বিধানসভা ভোট। সূত্রের খবর, বিরোধীদের বৈঠকটিতে আসন্ন লোকসভা ও এই তিন রাজ্যের ভোট কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে। উপস্থিত থাকার কথা এসপি এবং বিএসপি নেতৃত্বের। মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে মায়াবতীকে সঙ্গে রেখে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি করে লড়তে চাইছেন অখিলেশ সিংহ যাদব এবং রাহুল গাঁধী। জোটরক্ষার খাতিরে ন্যূনতম আসনে প্রার্থী দিতেও রাজি অখিলেশ। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যস্তরের নেতাদের মধ্যে কথা হলেও এখনও সর্বোচ্চ স্তরে মতৈক্য হয়নি। ৩০ অগস্টের বৈঠকে
বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন রাহুল, অখিলেশ, মায়াবতীরা।
নির্বাচন কমিশনও একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে ২৭ তারিখ। বিষয়, নির্বাচনী সংস্কার। ইভিএম বাতিল করে ব্যালট বাক্স ফিরিয়ে আনার দাবিতে তৃণমূল-সহ বিরোধীদের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি নিয়ে দেখা করবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy