হাতেনাতে: ধৃত গুরুগ্রামের যুবক আকাশ।
প্রথমে ফেসবুকে বন্ধুত্বের রিকোয়েস্ট পাঠানো বা ইনস্টাগ্রামে ফলো করা। শুরুটা হত এ ভাবেই। সেখান থেকেই নানা তরুণীর ছবি ডাউনলোড করত বছর চৌত্রিশের আকাশ চৌধরি নামে গুরুগ্রামের এক যুবক। তার পরে সেই সব তরুণীদের নাম ও ছবি দিয়ে নকল প্রোফাইল বানাত সে। সেই প্রোফাইল থেকে নানা ব্যক্তির সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে তাঁদের টোপ দিয়ে টাকা রোজগার করত আকাশ।
সম্প্রতি গুরুগ্রাম থেকেই আকাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেখানে বাবার সঙ্গে একটি মাংসের দোকানও চালাত সে। আকাশের মোবাইল, ল্যাপটপ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রভৃতি পরীক্ষা করে পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই সব নকল প্রোফাইল থেকে বিভিন্ন রকম জিনিসপত্রের বিজ্ঞাপনও করতেন আকাশ। জুতো, ঘড়ি, সানগ্লাস, জামাকাপড় থেকে শুরু করে ক্যাব পরিষেবা অনেক কিছুই সেই তালিকায় ছিল। সম্প্রতি সেই বিষয়ে বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করে সে।
বিহার থেকে দিল্লিতে আসার আগে একটি কল সেন্টারে কাজ করত আকাশ। নতুন এই ব্যবসা ফেঁদে আগের চেয়ে অনেক বেশি রোজগার করছিল সে। পুলিশ জানায়, তরুণীদের নকল প্রোফাইল ব্যবহার করে মুম্বইয়ের এক
ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা জালিয়াতি করে আকাশ। দক্ষিণ দিল্লির লাজপত নগরের এক মহিলা সম্প্রতি খেয়াল করেন, তাঁর নামে একটি নকল প্রোফাইল রয়েছে ইনস্টাগ্রামে। তিনি জানতে পারেন, এক বছর ধরেই রয়েছে ওই ভুয়ো প্রোফাইলটি। তিনি যখন প্রোফাইল পিকচারটি মুছে দেওয়ায় দাবি জানান, তখন তাঁর কাছ থেকে আরও ছবি চাওয়া শুরু করে আকাশ। হুমকি দেওয়া হয়, ছবি না দিলে তাঁর নাম ও ছবি দিয়ে এসকর্ট সার্ভিসের ওয়েবসাইটে প্রোফাইল খুলে দেওয়া হবে। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা।
তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই আকাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ন’টি ধারা অমান্য করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর সঙ্গে আরও বেশ কয়েক জন জড়িত এবং তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়েদের প্রোফাইল ব্যবহার করে যৌন ব্যবসা চালাত বলেই অনুমান পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy