দুপুর থেকেই কংগ্রেসের সদর দফতরে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নেতা কে সি বেণুগোপালের ঘরের সামনে কংগ্রেসের ছোট-বড় নেতাদের ভিড়। সকলে পদত্যাগ করতে চান। কেউ লোকসভা ভোটের হারের নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে। কারও অবস্থান, রাহুল গাঁধী সভাপতি পদে না থাকলে তিনিও দলের কোনও পদে থাকতে চান না। আজ যাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কিসান কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাটোলে। তিনি রাজস্থানের যুগ্ম-দায়িত্বে ছিলেন। রাজস্থানের যুগ্ম-দায়িত্বে থাকা আর এক নেতা তরুণ কুমারও ইস্তফা দিয়েছেন।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া কংগ্রেসের গণ-পদত্যাগ শনিবারও অব্যাহত। দিনের শেষে শ’দুয়েক বেশি নেতা পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু যাঁদের নিয়ে প্রশ্ন ছিল, সেই প্রবীণ নেতাদের বিশেষ কাউকে এদিনও পদত্যাগ করতে দেখা যায়নি।
এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে আজ এআইসিসি মুখপাত্র পবন খেরা যুক্তি দেন, দলের অনেক নেতা পদত্যাগ করেছেন ঠিকই। কিন্তু সকলেরই মনোভাব হল, রাহুলই সভাপতির পদে থাকুন। তা হলে প্রবীণ নেতারা পদত্যাগ করছেন না কেন? খেরার জবাব, ‘‘এক এক জনের অনুরোধ জানানোর ধরন এক এক রকম।’’
অনুরোধের ধরন যেমনই হোক, নিজের সিদ্ধান্তে তিনি যে এখনও অনড় তা আজ ফের স্পষ্ট করেছেন রাহুল গাঁধী। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে আজ কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে তিনি নিজের বাড়িতে বৈঠক করেন। সেখানে প্রকাশ অম্বেডকরের দলের মতো নতুন জোট-সঙ্গী খোঁজার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন রাহুল। কিন্তু মহারাষ্ট্রের নেতারা তাঁকে সভাপতির পদে থেকে যাওয়ার অনুরোধ জানালে রাহুল জানিয়ে দেন কিছু দিনের মধ্যেই কংগ্রেসের নতুন সভাপতি এসে যাবেন। তবে তিনি যে রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে থেকেই কাজ করবেন, তা-ও জানিয়েছেন রাহুল।
রাহুল যুব কংগ্রেসের বৈঠকে প্রবীণ নেতাদের পদত্যাগ না করা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বলে কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছিল। আজ যুব কংগ্রেস জানিয়েছেন, এ সব খবর ভুল। কিন্তু প্রবীণ নেতাদের পদত্যাগ না করা নিয়ে আজ ছত্তীসগঢ়ের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা পি এল পুনিয়া তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মন্তব্য করেছেন, ‘‘সকলেই তো পদত্যাগ করেছেন। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সকলেই বলেছেন যে তাঁরা পদত্যাগ করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy