Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সিবিআই ছাড়পত্র পায়নি অধিকাংশ বিজেপি রাজ্যেই 

এ বার প্রশ্ন উঠল, অধিকাংশ বিজেপি শাসিত রাজ্যই সিবিআইকে এই ঢালাও অনুমতি দিয়ে রাখেনি। কেন?

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৮
Share: Save:

সিবিআইকে রাজ্যে তদন্তের ঢালাও অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও চন্দ্রবাবু নায়ডুকে নিশানা করেছিলেন অরুণ জেটলি। বলেছিলেন, ‘‘যাঁদের অনেক কিছু লুকোনোর রয়েছে, একমাত্র তাঁরাই সিবিআইকে তাঁদের রাজ্যে ঢুকতে বাধা দেন।’’ এ বার প্রশ্ন উঠল, অধিকাংশ বিজেপি শাসিত রাজ্যই সিবিআইকে এই ঢালাও অনুমতি দিয়ে রাখেনি। কেন?

অর্থ মন্ত্রকে অরুণ জেটলির পূর্বসূরি, কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম আজ এ নিয়ে বলেন, ‘‘অন্ধ্র, পশ্চিমবঙ্গের অনুমতি প্রত্যাহার নিয়ে বিতর্ক খাড়া করার আগে জানা দরকার, বিজেপি শাসিত ক’টি রাজ্য ওই অনুমতি দেয়নি। এ কথা কি ঠিক যে, মাত্র ১০টি রাজ্য সরকার সিবিআইকে তাদের রাজ্যে তদন্তের ঢালাও অনুমতি দিয়ে রেখেছে?

সরকারি ভাবে কেউ এ নিয়ে মুখ না খুললেও, সিবিআইয়ের একটি সূত্রের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ঢালাও অনুমতি প্রত্যাহার করে

নেওয়ার পরে মাত্র আটটি রাজ্যেরই ঢালাও অনুমতি বা ‘জেনারেল কনসেন্ট’ সিবিআইয়ের কাছে রয়েছে। ওই আটটি রাজ্য হল, হিমাচলপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, সিকিম, মিজোরাম ও তামিলনাড়ু।

এর মধ্যে হিমাচল, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও মণিপুরে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী। নাগাল্যান্ডে বিজেপি শাসক জোটে রয়েছে। সিকিমে এনডিএ-র শরিক দল সরকারে। মিজোরাম, তামিলনাড়ুতে অ-বিজেপি সরকার। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ অবশ্য ওই রাজ্যে কর্মরত মধ্যপ্রদেশ ক্যাডারের আইএএস-আইপিএসদের বিরুদ্ধে তদন্তের ঢালাও অনুমতি দেয়নি। তবে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ডের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্য সিবিআইকে তাদের রাজ্যে ‘জেনারেল কনসেন্ট’ দেয়নি। এই ‘জেনারেল

কনসেন্ট’ থাকলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে কর্মরত কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী বা কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই সরাসরি তদন্ত শুরু করে দিতে পারে। রাজ্য সরকারের থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে পৃথক ভাবে তদন্তের অনুমতি বা ছাড়পত্র নিতে হয় না।

‘ঢালাও অনুমতি’ প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে অন্ধ্র-পশ্চিমবঙ্গ, দু’রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরই অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী সরকার সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে। জেটলি পাল্টা আক্রমণে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমি সিবিআইয়ের তদন্তের অনুমতি কেড়ে নিলাম বলে সারদা ও নারদ তদন্ত

আটকানো যাবে না।’’ সেই মন্তব্যেরই জবাবে আজ বিজেপির পক্ষে অস্বস্তিকর প্রশ্নটি তুলে দিলেন। জেটলির মন্তব্যই কার্যত ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়াল এতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE