বিহারের পরেই পশ্চিমবঙ্গ। সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সংখ্যায় পশ্চিমবঙ্গ এখন দ্বিতীয় স্থানে।
কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দেশে ১২টি বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালত তৈরি হয়েছে। এই ১২টি আদালতে মোট ১,০৯৭টি মামলা ঝুলে রয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী, এর মধ্যে বিহারে রয়েছে ২৪৯টি মামলা। পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে ঝুলে রয়েছে ২১৫টি মামলা।
আইন মন্ত্রকের এই তথ্য সামনে আসার পরে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের রাজনীতিকদের যুক্তি, বেশি মামলা ঝুলে রয়েছে বলেই যে পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ-বিধায়কেরা অনেক বেশি অপরাধে যুক্ত, এমন নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণেও প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। তবে সেই প্রবণতা যে পশ্চিমবঙ্গে বেশি, এই তথ্যে সেটা স্পষ্ট বলে মেনে নিচ্ছেন রাজনীতিকরা।
সুপ্রিম কোর্টই পাঁচ বছর আগে নির্দেশ দিয়েছিল, কোনও সাংসদ বা বিধায়ক ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ও অন্তত দু’বছরের কারাদণ্ড হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সাংসদ বা বিধায়ক পদ চলে যাবে। এর পর সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় বিশেষ আদালত গঠন করে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। গত বছর ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট সব রাজ্যে বিশেষ আদালত তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল। এর পর গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, কতগুলি বিশেষ আদালত তৈরি হয়েছে। সেখানে কতগুলি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে।
কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য বলছে, বিশেষ আদালতে পাঠানো মোট ১,২৩৩টি ফৌজদারি মামলার মধ্যে ১৩৬টির নিষ্পত্তি হয়েছে। বিহারে মোট ২৬৯টি মামলা বিশেষ আদালতে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ১১টি মামলার নিষ্পত্তি রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে পাঠানো ২১৫টি মামলার মধ্যে একটিরও নিষ্পত্তি হয়নি এখনও। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলির কাছে সরাসরি জানতে চেয়েছে, মামলার বোঝার নিরিখে আরও বিশেষ আদালত তৈরির প্রয়োজন রয়েছে কি না। কেন্দ্রের আইন মন্ত্রক জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বক্তব্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে অতিরিক্ত বিশেষ আদালতের প্রয়োজন নেই।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ আজ সব রাজ্যের মুখ্যসচিব ও হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারদের নির্দেশ দিয়েছে, সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা মামলার বিশদ তথ্য জানাতে হবে। প্রয়োজনে তাঁদের নির্দেশ পালনের কাজে নজরদারি করা হবে বলেও জানান বিচারপতি গগৈ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy