মায়াবতী।—ফাইল চিত্র।
উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনয়ন পেশ করছিলেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু। সামনের টেলিভিশনের পর্দায় নরেন্দ্র মোদী দেখলেন, ইস্তফার হুমকি দিয়ে রাজ্যসভা ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন ক্রুদ্ধ মায়াবতী। বেঙ্কাইয়ার কাছে গিয়ে মোদী বললেন, ‘‘এ বারে আপনাকে সামলাতে হবে এ সব।’’ সেই সঙ্গেই হাসতে হাসতে জুড়ে দিলেন, ‘‘আপনি ভিপি (ভাইস প্রেসিডেন্ট) হচ্ছেন বটে, কিন্তু আশ্বস্ত করছি, আপনার বিপি (ব্লাড প্রেশার) বাড়তে দেব না।’’
যদিও সম্ভাব্য উপরাষ্ট্রপতির রক্তচাপ বাড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে বিকেল গড়াতে সত্যিই ইস্তফা দিলেন মায়াবতী। উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির কাছে। অবশ্য ইস্তফার নিয়ম পালন না করেই। সব ঠিক থাকলে আর দু’সপ্তাহ পরেই উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পদে বসবেন বেঙ্কাইয়া। ‘নিজের লোক’ পাওয়ার উদ্দীপনায় আজ থেকেই রাজ্যসভায় দাপট দেখিয়ে সরকারপক্ষ আজ রাজ্যসভায় দলিত-সংখ্যালঘু নিগ্রহ নিয়ে বলতেই দিল না মায়াবতীকে। রাজ্যসভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তিনি। চাপের মুখে সরকার রাতে জানায়, দলিত নিগ্রহ-গণপিটুনি নিয়ে কাল আলোচনা হবে।
কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ বলেন, সরকার সব কিছুতে জনমতের দোহাই দেয়। কিন্তু সে জনমত গরিব-কৃষকের উন্নয়নের জন্য, দলিত-সংখ্যালঘুকে গণপিটুনির জন্য নয়। ইয়েচুরি ডেরেক ও’ব্রায়েনরা সরব হন কৃষক আত্মহত্যা-গণপিটুনি নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy