— ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যাবেন না, জানিয়ে দিয়েছেন মায়াবতী। তবে রাহুল গাঁধী মনে করেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী জোটে বিএসপি নেত্রী থাকবেন। একই সঙ্গে ফের তিনি জানিয়েছেন, ভোটের পর সহযোগী দলগুলি তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি সে দায়িত্ব নিতে রাজি।
ক’দিন আগেই মায়াবতী রাহুল ও সনিয়া গাঁধীর উপরে আস্থা রাখলেও ঘোষণা করেন মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দল জোটে যাবে না। দিল্লিতে আজ একটি সংবাদ মাধ্যমের অনুষ্ঠানে রাহুলকে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র ও রাজ্যের জোটের বিষয় দু’টি আলাদা। মায়াবতীও সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানায় জয়ের ব্যাপারে কংগ্রেস আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু লোকসভা ভোটে সব দল এক হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে।’’
লোকসভায় কংগ্রেস কত আসন পাবে? এই প্রশ্নের জবাবে রাহুল কোনও স্পষ্ট জবাব না দিয়ে বলেন, ‘‘অনেক।’’ গত কাল এবিপি নিউজ-সি ভোটারের সমীক্ষার ফল বলছে, এখনই লোকসভা ভোট হলে সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা ২৭২-এর মাত্র চারটি আসন বেশি পেতে পারে এনডিএ। তবে ইউপিএ-র আসন গত বারের থেকে বাড়লেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারে কাছে যেতে পারছে না। তবে এই আভাস বিরোধী জোট না-হওয়ার শর্তে। এ দিন রাহুল বলেন, ‘‘শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে স্থির হয়েছে, প্রথম ধাপে জোট বেঁধে বিজেপিকে হারানো হবে। তার পর দ্বিতীয় ধাপে স্থির হবে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টি। কারণ, কী হবে তা তো জানা নেই!’’
কংগ্রেস সভাপতি আগে একাধিক বার বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হতে তিনি রাজি। প্রশ্ন উড়ে আসে, ভোটের পর অন্য দল তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হতে বললে তিনি কি এখনও রাজি? এর জবাবে সোজাসাপ্টা বলেন রাহুল, ‘‘তাঁরা যদি চান, নিশ্চয়ই হব!’’ তবে বিজেপির বক্তব্য, পর্যাপ্ত আসনই যেখানে মিলছে না, রাহুলের প্রধানমন্ত্রিত্বের বিষয়টি আসছে কী করে?
রাহুল আজ বলেন, ‘‘জোটের বিষয়ে আমি খুবই নমনীয়। বাস্তবে আমাদের রাজ্য নেতাদের থেকেও। তবে বিএসপির সঙ্গে জোট না হওয়ার বিষয়টি মধ্যপ্রদেশে প্রভাব ফেলবে না।’’ কংগ্রেসের এক নেতা জানান, বিএসপি মধ্যপ্রদেশে ৫০টি এবং ছত্তীসগঢ়ে ১৫টি আসন চেয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষে মধ্যপ্রদেশে ২০-২২টি আর ছত্তীসগঢ়ে ৯টির বেশি আসন দেওয়া সম্ভব ছিল না। তা হলে বিজেপিকে হারানো কঠিন হয়ে পড়ত। আবার রাজস্থানের কংগ্রেস নেতৃত্ব কারও সঙ্গেই জোটের পক্ষে নয়। কংগ্রেসের ওই নেতার দাবি, রাহুল নরেন্দ্র মোদীর মতো ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত না করে রাজ্য নেতৃত্বের হাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দেন। সেটা এ বারও প্রমাণ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy