অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের মানহানি মামলার শুনানির সময়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশের ভূমিকার কড়া নিন্দা করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের মন্তব্য, ‘‘কোনও এক জন নিজের ইচ্ছে মতো অন্য আর এক জনকে নিয়ে লিখে যাবে— এটা কি ভাবে চলতে পারে? সব কিছুরই সীমা রয়েছে।’’ তবে প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, এই বিশেষ মামলাটি নিয়েই এ সব মন্তব্য করছেন না। একটি ওয়েবসাইটের সাংবাদিক ও সম্পাদকদের বিরুদ্ধে করা জয় শাহের মানহানি মামলার শুনানিও আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ওই সময়ের মধ্যে মামলাটি নিয়ে না এগোনোর জন্যই গুজরাতের নিম্ন আদালতকে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
জয় শাহের করা মানহানির মামলায় নিম্ন আদালত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সমন জারি করার যে নির্দেশ দিয়েছে, গুজরাত হাইকোর্ট তা বহাল রেখেছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সংবাদ সংস্থাটি। এ ব্যাপারে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারী জয় শাহের বক্তব্য জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরের শুনানি ১২ অগস্ট। তবে এই মামলা উঠতেই এ দিন সংবাদমাধ্যমের একাংশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমগুলির মধ্যে অনেকেই ভাবেন, তাঁরা যা মনে হয় লিখে ফেলতে পারেন। কল্পনায় যা আসে, সে সব লিখে পারও পেয়ে যেতে পারেন।’’ প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘কেউ কি যাজকের প্রচারবেদিতে বসে যা মনে হয় লিখতে পারেন? এটা কি সাংবাদিকতা?’’ তবে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র জানান, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সম্মান করে শীর্ষ আদালত। কিন্তু তাদের দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করেন।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে অমিত শাহের পুত্র জয়ের ব্যবসা লাফিয়ে বেড়েছে— এমন দাবি করে সংবাদ প্রকাশ করেছিল ওয়েবসাইটটি। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের রাজনীতি। বিষয়টি নিয়ে প্রচারে নামেন বিরোধী দলের নেতারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকেই নিশানা করেন তাঁরা। তবে নিজের সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন জয়।
ওই ওয়েবসাইটটির বিরুদ্ধে আদালতে যান অমিত-পুত্র। মানহানির মামলা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy