রাজেশ কুমার ও শৈলজা কুমারী। ছবি: সংগৃহীত।
লভ কামস ইন অল শেপস অ্যান্ড সাইজেস। এই ধ্রুবসত্যটা আরও এক বার প্রমাণ করে দিলেন ওঁরা। ওঁরা বলতে হিমাচলপ্রদেশের উনা জেলার রাজেশ কুমার আর তাঁর পত্নী শৈলজা কুমারী। ওঁদের দু’জনেরই উচ্চতা দুই ফুট পাঁচ ইঞ্চি করে। দেশে এই মুহূর্তের সবচেয়ে বেঁটে যুগল ৩৪ বছরের রাজেশ আর ৩০ বছরের শৈলজাই।
আরও পড়ুন- এনসিসি থেকে এ বার আকাশযুদ্ধে মেয়েরাও
সরকারি চাকুরিজীবী রাজেশ বহু দিন ধরেই যোগ্য পাত্রীর খোঁজে ছিলেন। রাজেশের পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে অফিসের সহকর্মীরা বহু খুঁজেছেন রাজেশের মতো একজন পাত্রীকে। পরিবারের চাহিদা ছিল দুটো— হয় এক্কেবারে কাঁটায় কাঁটায় রাজেশের উচ্চতা ছুঁতে হবে, না হয় রাজেশের থেকে আর একটু খাটো। এর উপরে উঠলে চলবে না। শেষে রাজেশের পরিবার খুঁজে পায় শৈলজাকে।
পরিবার পরিজনদের সঙ্গে নব দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রায় একই গল্প শৈলজারও। অনেক দিন ধরে অনেক জায়গায় তন্ন তন্ন করে এক জন আড়াই ফুটের পাত্র খুঁজেছিল শৈলজার পরিবার। অনেক ঘুরে শৈলজার ভাগ্যের চাকা এসে থামল রাজেশের বাড়ির দোরগোঁড়ায়। বেশ জাঁকজমক ভাবেই ওঁদের বিয়ে হল। আশপাশের বহু গ্রাম থেকে অনেকেই বিবাহ বাসরে ভিড়ে জমিয়েছিলেন এই দম্পতিকে দেখতে।
সম উচ্চতার কনে খুঁজে পেয়ে খোশমেজাজে বর। রাজেশ বলছেন, “শৈলজা আমাকে সম্পূর্ণ করেছে। ওঁকে আমি সর্বদা খুশিতে রাখতে চাই। আমরা একে অপরের জন্যই জন্মেছি। আর আমাদের ম্যাচটা উপরওয়ালা স্বর্গেই নির্ধারণ করে রেখেছিলেন।” ঠিক তখনই শৈলজা বলেন, “আমিও খুব খুশি যে অবশেষে মনের মতো কাউকে পেলাম। এর পুরোটাই সম্ভব হয়েছে ইশ্বর আর আমার পরিবারের জন্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy