মিটু আন্দোলনের জেরে এ বার চাকরি খোয়াতে হল ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন’ (এনআইডি)-এর এক বর্ষীয়ান শিক্ষককে। আমদাবাদে এনআইডি-র ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ভাবে যৌন হেনস্থা বা শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেননি কেউ। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের একটা বড় অংশ অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ক্লাসে পড়ানোর সময় বিষয়ের বাইরে গিয়ে অকারণে যৌন সম্পর্ক নিয়ে বা
যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতেন কৃষ্ণেশ মেটা নামে ওই শিক্ষক।
ছাত্রীদের অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেন এনআইডি কর্তৃপক্ষ। সেই কমিটি পরে রিপোর্টে জানায়, ছাত্রীদের আনা অভিযোগ সত্যি। এর পরেই কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছিল ওই শিক্ষককে।
কিন্তু নিজের ওই ব্যবহারের কোনও ব্যাখ্যা না দেওয়ায় তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন এনআইডি কর্তৃপক্ষ। তবে এক মাসের নোটিস পর্বের আগেই গোটা ঘটনার জন্য লিখিত ক্ষমা চেয়ে ইস্তফা দেন কৃষ্ণেশ মেটা। গত ৫ অক্টোবর তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছেন এনআইডির ডিরেক্টর প্রদ্যুম্ন ব্যস। প্রায় এক মাস আগের ঘটনা প্রকাশ্য এসেছে এখন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা
করছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। কিন্তু ডিরেক্টর জানিয়েছেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর হওয়ায় ছাত্রীদের অধিকার রক্ষার স্বার্থেই এ নিয়ে এত দিন সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা হয়নি।
শুধু বরখাস্তই নয়, এনআইডির কোনও ক্যাম্পাসে ঢুকতেও বারণ করে দেওয়া হয়েছে ওই শিক্ষককে। পড়ানো সংক্রান্ত বা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কোনও কাজেও অংশ নিতে পারবেন না ওই শিক্ষক। গত ২৫ বছর ধরে এনআইডিতে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি স্টাডিস’ এবং ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন’ পড়াতেন কৃষ্ণেশ।
আমদাবাদ এনআইডির ডিরেক্টর আরও জানিয়েছেন, বেশ কিছু বছর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছিল। সে বারও অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ওই শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy