প্রতীকী ছবি।
কারও ইউনিফর্ম ঠিক করার নামে অশোভন ভাবে গায়ে হাত দেওয়া। কাউকে সুবিধামতো জায়গায় বদলির শর্তে মোটা টাকার প্রস্তাব। রাজি না হলে দূরে বদলি, হেনস্থা। কাউকে আবার বাড়িতে পরিচারিকার মতো খাটানো। দেশ জুড়ে #মিটু-র ধাক্কায় এ বার দফতরের দুই পদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে এমনই নানা ধরনের যৌন ও আর্থিক হেনস্থার অভিযোগ তুললেন গুজরাতের সুরাতের মহিলা হোমগার্ডরা।
তবে এ বার আর সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, সরাসরি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন অন্তত ২৫ জন মহিলা হোমগার্ড। শুক্রবারই এই অভিযোগ নিয়ে সুরাতের পুলিশ কমিশনার সতীশ শর্মার দ্বারস্থ হয়েছেন হোম গার্ডরা। কমিশনার জানিয়েছেন, ‘‘কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের হেনস্থার অভিযোগ নথিবদ্ধ করার জন্য একজন ডেপুটি কমিশনারের নেতৃত্বে জেলায় একটি কমিটি রয়েছে। সেই দফতরে অভিযোগ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।’’
কমিশনারের কাছে পাঠানো চার পাতার অভিযোগ পত্রে মহিলা হোমগার্ডরা নালিশ জানিয়েছেন, ওই দুই পদস্থ কর্তা মহিলা হোমগার্ডদের নানা ভাবে শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও যৌন হেনস্থা করেছেন। দু’জনের মধ্যে এক অফিসার একাধিক মহিলা হোমগার্ডকে বিভিন্ন সময় ইউনিফর্ম ঠিক করার নামে শরীরের নানা জায়গায় হাত দিতেন বলেও ওই অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের আইসিইউ’য়ে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ যোগী-রাজ্যে
মহিলা হোমগার্ডদের আরও অভিযোগ, পছন্দমতো জায়গায় বদলির জন্য মোটা টাকা দাবি করা হয়েছে অনেকের কাছে। টাকা না দিলে তাঁদের দূরে প্রত্যন্ত এলাকায় বদলি করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হত। এ ছাড়া অফিসারদের বাড়িতে পরিচারিকার মতো কাজ করতেও বাধ্য করানো হত বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা হোমগার্ডরা।
আরও পড়ুন: প্রেম করে বিয়ের দেড় বছরের মধ্যেই স্ত্রীকে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে মারলেন স্বামী!
সুরাত প্রশাসন সূত্রে খবর, অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপসিন জাদেজাকেও অভিযোগের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy