দীর্ঘ দিন থেকে হাফলং কারাগারের শোচনীয় অবস্থা। পরিকাঠামো বলতে কিছু নেই। নিরাপত্তা ব্যবস্থা বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। দু’দফায় জঙ্গিরা জেল থেকে পালায়। এর পরও অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। গত কাল হাফলং জেল পরিদর্শন করে এই কথাই সকলের কাছে শুনলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী গিরীন্দ্র মল্লিক। নিজস্ব দাবি-দাওয়া থাকলেও মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে সে সব বলেননি জেলকর্মীরা। নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার কথাই জানালেন তাঁকে। মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত সে সব মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
২০০৭ সালে হাফলং কারাগার থেকেই পালিয়ে গিয়েছিলেন ডিএইচডি (জুয়েল গোষ্ঠী)–র প্রাক্তন উপ-সেনাধ্যক্ষ ড্যানিয়েল গারলোসা (বর্তমানে স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচিত সদস্য) ও তাঁর সহকারী ডাকুসিং ডিমাসা। জেলের ভিতরে বসেই আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করেন তাঁরা। পরে গুলি করতে করতে সকলের সামনে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর, ২০১২ সালে জেলের ছাদের টিনের কাঠামো খুলে পালিয়েছিলেন ডিএনএলএফ জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতা অ্যাকশন ডিমাসা ও বঙ্গীচরণ খেলমা। দু’বারই ঘটনার পর সরকারি তরফে অনেক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি।
অন্য সব জায়গাতেই জেলের চার দিকে সিমেন্ট-কংক্রিটের উঁচু দেওয়াল থাকে। ব্যতিক্রম হাফলং। এখানে লোহার রডের পাঁচিল। তার উপরে কাঁটাতার। ৩২ জন বন্দির থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে রয়েছে ৬৪ বন্দি। রান্নাঘর খুব ছোট। তা-ও কবে ভেঙে পড়ে, এ নিয়ে চিন্তায় কারাকর্মীরা। নেই পর্যাপ্ত পানীয় জল। তার উপর রয়েছে নিকাশির সমস্যা।
মন্ত্রী গিরীন্দ্র মল্লিক হাফলং কারাগারের সমস্যাগুলি খুটিয়ে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সুপার জি ভি শিবপ্রসাদ। কারাকর্মীরা তখন পরিকাঠামোর উন্নতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দেন। গিরীন্দ্রবাবু তাঁদের জানান, এ ব্যাপারে তৎপরতা চলছে। নতুন দালান, সুরক্ষা দেওয়াল ইত্যাদির জন্য অর্থের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাটিঙ্গার দিকে জায়গা খোঁজা হচ্ছে। অভিযোগ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন কারামন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy