ছেলের ছবি হাতে নজীব আহমেদের মা ফতেমা নাফিস।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত কাল ঘোষণা করেছেন, ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ (আমিও চৌকিদার)! তার পর থেকে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা টুইটার অ্যাকাউন্টে নিজেদের নামের আগে ‘চৌকিদার’ কথাটি লিখে ফেলেছেন। বিজেপি শিবির যখন ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ প্রচারে ব্যস্ত তখন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের(জেএনইউ) নিখোঁজ ছাত্র নজীব আহমেদের মা ফতেমা নাফিস সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন— ‘‘চৌকিদার, আমার ছেলে কোথায়?’’ ওই টুইটের পর থেকেই নেটিজেনদের একটা বড় অংশের নিশানায় ‘চৌকিদার’।
ভোট-বাজারে প্রধানমন্ত্রী যখন নিজেকে ‘সজাগ চৌকিদার’ হিসেবে প্রচার করতে শুরু করেছেন, তখন ‘হ্যাশট্যাগ হোয়ারইজনজীব’ (নজীব কোথায়) লিখে ফতেমার টুইট-প্রশ্ন, ‘‘আপনি যদি চৌকিদার হন, তা হলে বলুন আমার ছেলে নজীব কোথায়? এবিভিপির গুন্ডারা কেন গ্রেফতার হল না? প্রথম সারির তিনটি তদন্তকারী সংস্থা আমার ছেলেকে খুঁজে বার করতে ব্যর্থ হল কেন?’’ ফতেমা মনে করেন, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা’র জন্য সিবিআই নজীব নিখোঁজ মামলা গুটিয়ে নিয়েছে।
মাইক্রো বায়োলজির স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র হিসেবে জেএনইউয়ে যোগ দিয়েছিলেন নজীব। জেএনইউ চত্বরে তিনি ‘মাহি মান্ডভি হস্টেলে’ ছিলেন। অভিযোগ, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর আরএসএসের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারত বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) ছাত্রদের হাতে নজীব নিগৃহীত হন। পর দিন অর্থাৎ, ১৫ অক্টোবর থেকে তাঁকে আর কেউ দেখেননি। ১৫ অক্টোবর, ২০১৬ থেকে ১৫ মার্চ, ২০১৯— ২৯ মাস পরও নজীবের খবর কেউ জানেন না। ফতেমার টুইটের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। দানিস নিসার (সমাজসেবী) নামে এক নেটিজেনের টুইট, ‘‘আজ সকলে বলছেন আমিও চৌকিদার, সেই সময় দেশের চৌকিদার কোথায় ছিলেন, যখন তাঁর নাকের ডগা থেকে এক মায়ের সন্তান নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল?’’ সিপিআইএম-এল(লিবারেশন)-এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য টুইটারে লিখেছেন, ‘‘যিনি নিজেকে সজাগ চৌকিদার বলছেন, তাঁর কাছে কি জেএনইউ থেকে ২৯ মাস আগে নিখোঁজ হওয়া এক ছাত্রের মায়ের প্রশ্নের কোনও উত্তর আছে?’’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রাজেন্দ্র মৌর্য নামে এক ব্যক্তির টুইট, ‘‘মিস্টার চৌকিদার, নজীব কোথায়? মা, স্ত্রী, ছেলের জন্য ভালবাসা আপনার মতো অনুভূতিহীন ব্যক্তি বুঝবেন না....।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy