সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত কেরলের কোট্টায়ম। অভিযোগকারিণী সন্ন্যাসিনীকেই ‘যৌনকর্মী’ বলে বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের এক বিধায়ক। পি সি জর্জ নামে ওই বিধায়ক বলেন, ‘‘ওই সন্ন্যাসিনী যে এক জন যৌনকর্মী, তাতে সংশয় নেই।’’
গত জুলাইয়ে জালন্ধরের বিশপ ফ্র্যাঙ্কো মুলাক্কালের বিরুদ্ধে দু’বছরে ১৩ বার ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন ওই সন্ন্যাসিনী। জর্জের কথায়, ‘‘১২ বার ধর্ষণে আপত্তি ছিল না। ১৩তম বারই তাঁর মনে হল ধর্ষণ করা হচ্ছে। আপত্তি থাকলে প্রথম বারেই কেন অভিযোগ করেননি?’’
ওই বিধায়কের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা জানান, কেরলের ডিজিপি লোকনাথ বেহেরকে চিঠি লিখে জর্জের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাবেন তিনি। বলেন, ‘‘ওই সন্ন্যাসিনীর সঙ্গে দেখা করেছি। ধর্ষণের অভিযোগ তোলার পর থেকে গির্জা পর্যন্ত তাঁর পাশে নেই। রেশন বা ভাতার মতো সুবিধাও পাচ্ছেন না।’’
সন্ন্যাসিনীর জন্য পথে নেমেছেন বহু মানুষ। কোট্টায়মের যে কনভেন্টে ওই সন্ন্যাসিনী থাকতেন সেখানকার আবাসিকরাও যোগ দিয়েছেন প্রতিবাদে। তাঁদেরই এক জন বলেন, ‘‘পুলিশ যে ভাবে তদন্ত করছে, তাতে ভরসা রয়েছে। কিন্তু বিশপকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন পুলিশেরই কিছু শীর্ষ কর্তা।’’ রবিবার প্রতিবাদে শামিল হন নানা ক্যাথলিক সংগঠনের সদস্যও। ৪৩ বছরের ওই সন্ন্যাসিনীর অভিযোগ, ২০১৪-১৬ সালের মধ্যে একাধিক বার ওই বিপশ তাঁকে জরুরি কাজের ছুতোয় ডেকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের নজরে আসার পরে জনতার চাপে বাধ্য হয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিশেষ তদন্তকারী দল গত মাসে জালন্ধরে গিয়ে ফ্র্যাঙ্কোর বয়ান রেকর্ড করেছে।
এ দিকে, রবিবার কোল্লমের একটি কনভেন্টের ভিতরে একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার হল এক সন্ন্যাসিনীর দেহ। পুলিশ জানায়, ৫৪ বছরের ওই মহিলার নাম সুজ়ান। ১২ বছর ধরে পাথানাপুরমের সেন্ট স্টিফেন স্কুলে পড়াতেন। কুয়োর আশপাশে রক্তের দাগ মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy