Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
National news

যোগাসন শেখানোর ‘অপরাধে’ মুসলিম শিক্ষিকার বাড়িতে হামলা

রাফিয়া দীর্ঘ দিন ধরেই যোগাসন শেখান। আর সেটাই নাকি তাঁর ‘অপরাধ’। রাফিয়ার অভিযোগ, প্রথমে তাঁকে ফেসবুকে হুমকি দেওয়া হয়।

রাফিয়া নাজ। সেই যোগ শিক্ষিকা। ছবি: সংগৃহীত।

রাফিয়া নাজ। সেই যোগ শিক্ষিকা। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৭ ১২:০২
Share: Save:

এক জন মুসলিম হয়ে যোগাসন শেখানোর ‘ধৃষ্টতা’ দেখান কী ভাবে? ঝাড়খণ্ডের দারোন্দার বাসিন্দা যোগাসন শিক্ষিকা রাফিয়া নাজের বিরুদ্ধে কার্যত এমনই অভিযোগ তুলে ফতোয়া জারি করেছিলেন ধর্মীয় গুরুরা। কিন্তু শুধুমাত্র ফতোয়া দিয়েই ক্ষান্ত না হয়ে এ বার তাঁর বাড়িতে সরাসরি হামলা চালাল এক ধর্মগুরুর নেতৃত্বে এক দল উত্তেজিত মানুষ।

আরও পড়ুন: কমলো জিএসটি, কী কী সস্তা হল? কতটা সস্তা হল? দেখে নিন তালিকা

রাফিয়া দীর্ঘ দিন ধরেই যোগাসন শেখান। আর সেটাই নাকি তাঁর ‘অপরাধ’। রাফিয়ার অভিযোগ, প্রথমে তাঁকে ফেসবুকে হুমকি দেওয়া হয়। তার পর আসতে শুরু করে হুমকি ফোন। এ বিষয়ে তিনি রাঁচীর সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ (এসএসপি)-কে জানান। এর পরই রাফিয়ার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে রাজ্য প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে এক সংবাদমধ্যমকে সাক্ষাত্কার দিচ্ছিলেন রাফিয়া। সেই সাক্ষাত্কার দেখে এলাকারই এক ধর্মগুরু তাঁর বিরুদ্ধে রাফিয়ার আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ তোলেন। তার পরই বেশ কিছু লোক জুটিয়ে রাফিয়ার বাড়িতে হামলা চালান বলে অভিযোগ। এ দিনের ঘটনার বিষয়ে ডেপুটি পুলিশ সুপার বিকাশ চন্দ্র শ্রীবাস্তব জানান, রাফিয়ার নিরাপত্তার জন্য কুইক রেসপন্স টিমকে তাঁর বাড়িতে পাঠানো হয়। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ধর্ষক দাদা, গুজরাতে কন্যা সন্তানের জন্ম দিল বোন

রাফিয়ার অভিযোগ, ২০১৫-তে প্রথম তাঁকে যোগাসন বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। সেই হুমকিকে অগ্রাহ্য করেই শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। রাফিয়া আরও জানান, ফৈজ উল্লা নামে এক ব্যক্তি তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, এক জন মুসলিম মহিলা হয়ে এ ধরনের কাজ করার জন্য লজ্জা করা উচিত। হিজাব ছাড়া স্টেজ পারফর্ম্যান্স করার জন্যও কটুক্তি করা হয় তাঁকে। এর পর থেকে নানা ভাবে তাঁকে উত্যক্ত করা হয় বলে অভিযোগ করেন রাফিয়া। কিন্তু তাতে ভয় না পেয়ে যোগাসন শিক্ষকতা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি।

রাফিয়ার উপর আক্রমণে তীব্র নিন্দা করেছেন যোগগুরু বাবা রামদেব। তিনি বলেন, “ইরান, ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে শুরু করে সৌদি আরবের মতো মুসলিম দেশেও যোগ শেখানো হয়। শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার জন্যই এই যোগ। কোনও ধর্মকে এর সঙ্গে জড়ানো মোটেই কাম্য নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE