Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ দেশের নাগরিকত্ব পেলে এঁদের ভবিষ্যত্ উজ্জ্বল হবে: মোদী

দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশ থেকে কয়েকশো পরিবার এসেছে। তাঁদের উপর সেই দেশে অত্যাচার হয়েছে এবং ‘মা ভারতী’র উপর তাঁদের আস্থা রয়েছে।

নরেন্দ্র মোদী।

নরেন্দ্র মোদী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৬
Share: Save:

সংসদে সোমবারেই পেশ হচ্ছে নাগরিকত্ব বিল। তার আগে আজ মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, প্রতিবেশী দেশের নিপীড়িতরা এ দেশের নাগরিকত্ব পেলে তাঁদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।

দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশ থেকে কয়েকশো পরিবার এসেছে। তাঁদের উপর সেই দেশে অত্যাচার হয়েছে এবং ‘মা ভারতী’র উপর তাঁদের আস্থা রয়েছে। নাগরিকত্বের রাস্তা খুললে তাঁদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।’’ কিন্তু এই তালিকা থেকে মুসলিমদের কেন বাদ দেওয়া হচ্ছে, দেশের সংবিধানের বিপক্ষে গিয়ে কেন ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে, মোদীর কথায় তার ব্যাখ্যা নেই

এই বিলের বিরোধিতা করে বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই সুর চড়াতে শুরু করেছে। বিলের বিরোধিতা করে দেশের উত্তরপূর্বে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিজেপিও পাল্টা প্রচারে ব্যস্ত। কেন এই বিল আনা হচ্ছে, তা বোঝানোর জন্য আরএসএস শীঘ্রই ওয়েবসাইট শুরু করতে চলেছে। আরএসএসের এক নেতার মতে, ‘‘এটি একটি ঐতিহাসিক ভুল ছিল। তা সংশোধন করা সাংবিধানিক দায়িত্ব। ২-৩ কোটি মানুষ লাভবান হবেন এই বিল পাশ হলে।’’

সংসদের একটি কমিটিকে কেন্দ্রের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে বছরের গোড়ায় জানানো হয়েছিল, ৩১,৩১৩ জন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু সে দেশে নিপীড়িত হয়ে ভারতে শরণ নিতে চাইছেন। তাঁদের দীর্ঘ সময়ের জন্য ভিসা দেওয়া হয়েছে। অনেক বছর ধরে তাঁরা এ দেশে থাকায় নাগরিকত্ব দিতে কোনও অসুবিধা নেই। এই ৩১,৩১৩ জনের মধ্যে হিন্দু ২৫,৪৪৭ জন, শিখ ৫,৮০৭ জন, খ্রিস্টান ৫৫ জন, বৌদ্ধ ২ জন এবং পার্সি ২ জন।

বিজেপির এক সূত্রের দাবি, এই সংখ্যাটি শুধুমাত্র প্রতিবেশী দেশের সেই নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের, যাঁরা আনুষ্ঠানিক ভাবে এ দেশের নাগরিক হতে চাইছেন। আসল সংখ্যাটি আরও অনেক বেশি। একবার প্রক্রিয়া শুরু হলে আসল তথ্য সামনে আসবে। বিজেপি অবশ্য সামনের সপ্তাহের গোড়া থেকে সাংসদদের উপস্থিত থাকার জন্য হুইপ জারি করেছে। পাশাপাশি আজ তারা সামনে নিয়ে এল আমেরিকান-ইহুদি মানবাধিকার কর্মী রিচার্ড বেনকিনের করা একটি ভিডিয়ো।

রিচার্ড বহু বছর ধরে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে গবেষণা করেছেন। কী কারণে সে দেশে হিন্দুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন আর কেনই বা তাঁদের ভারতে আশ্রয় দেওয়া উচিত, তা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন ভিডিয়োয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও রিচার্ড দেখা করেছেন। কলকাতাতে গিয়েও তিনি জনসভা করেছেন হিন্দু সংগঠনের ছাতার তলায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Citizenship Religion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE