—ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। তার আগে মানুষের মন জয় করতে মরিয়া মোদী সরকার। তাই বেশ কিছু প্রকল্পের ঘোষণা করতে চলেছে। যার জন্য রাজকোষ উজার করে দিতে প্রস্তুত তারা। দিল্লি সূত্রে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে মরিয়া বিজেপি। তার জন্য মুড়ি-মুড়কির মতো টাকা ছড়াতে আপত্তি নেই তাদের। নির্বাচনের আগে বেশ কিছু প্রকল্প ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সেই বাবদ প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা। রাজকোষ থেকেই পুরো টাকাটা জোগাবে মোদী সরকার। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে রাজকোষে ঘাটতি দেখা দেবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। নির্বাচন মিটলে যে নয়া সরকার আসবে, তাদের ঘাড়েই এর দায় বর্তাবে। সেই সঙ্গে বাজেট ঘাটতি পূরণ হতেও বাড়তি সময় লাগবে।
জাতীয় রাজনীতিতে জনপ্রিয়তার নিরিখে এখনও পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এগিয়ে নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর সেই অপ্রতিরোধ্য ভাবমূর্তি আর নেই। গতবছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেই হাতেনাতে যার প্রমাণ মিলেছে। হিন্দি বলয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ় হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। তাতেই এ বার নড়ে চড়ে বসেছে সরকার।
আরও পড়ুন: শহরে তারকা সমাবেশ! এলেন দেবগৌড়া, পওয়ার, অখিলেশ-সহ একঝাঁক নেতা
১ ফেব্রুয়ারি সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করবে মোদী সরকার। তাতে কৃষকদের জন্য সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার এবং সুদহীন ঋণের মতো বেশ কিছু প্রকল্প ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। রয়েছে করছাড়, চাকরিতে সংরক্ষণ এবং ছোট ও মাঝারি ধরনের শিল্পকে চাঙ্গা করার প্রকল্পও। এখনও পর্যন্ত নির্বাচনে দিন ক্ষণ স্থির হয়নি। তার আগেই জন সাধারণকে খুশি করতে রাজকোষ উজার করে দিতে চায় সরকার। নির্বাচন কমিশনের তরফে বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ার আগেই মানুষের সমর্থন নিশ্চিত করে নিতে চায় তারা।
আরও পড়ুন: মার্চের শুরুতেই লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে কমিশন
কিন্তু কৃষকদের সুদহীন ঋণ দিতে গেলে রাজকোষ থেকে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে দাবি অর্থনীতিবিদদের। কর ছাড় দিলে রাজস্ববাবদ সরকারের আয় কমবে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে যদিও রফা হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। মার্চের মধ্যে নিজেদের বাড়তি সঞ্চয় থেকে মোদী সরকারের হাতে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা তুলে দেবে তারা। কিন্তু তাতে চলতি অর্থবর্ষে রাজস্বে ঘাটতির পরিমাণ একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy