মেহুল চোক্সী। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক ও মুম্বই পুলিশ ‘সন্তোষজনক’ শংসাপত্র দিয়েছিল তাঁকে। ছাড়পত্র দিয়েছিল সরকারি সংস্থা সেবি। নাম ছিল না ইন্টারপোলের খাতাতেও। মেহুল চোক্সীর অতীতের এমন নানা দিক খুঁটিয়ে দেখেই তাঁকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে আজ বিবৃতি দিয়ে দাবি করল অ্যান্টিগা সরকার।
এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই বিরোধী আক্রমণের মুখে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কংগ্রেসের দাবি, এই বিবৃতির অর্থ, মেহুলের ব্যাপারে সবই জানত দিল্লি। টুইটারে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে রাহুল গাঁধী লিখেছেন, ‘‘মিস্টার ৫৬-র স্যুট-বুট পরা বিএফএফ (বেস্ট ফ্রেন্ড ফরএভার) মেহুলভাইকে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ক্লিনচিট দিয়েছিল ভারত সরকার। ‘ভাই’ পিএনবি-র ১৩ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।’’ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একটি অনুষ্ঠানে মেহুলকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেছিলেন মোদী। তা নিয়েই কটাক্ষ রাহুলের। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাও এ দিন বলেন, ‘‘প্রথমে লুট করতে দেওয়া এবং তার পরে পালানোর পথ করে দেওয়া— সরকারের এটাই অন্যতম নীতি।’’
আরও পড়ুন: অ্যান্টিগায় মেহুল চোক্সীর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে ভারতের আর্জি
ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্রটিতে বিনিয়োগ করতে চেয়ে ২০১৭ সালের মে মাসে নাগরিকত্বের আবেদন জানান মেহুল। বিরোধীদের দাবি, তখন থেকেই পালানোর ছক করেছিলেন তিনি। নভেম্বরে মেহুল অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব পান, ২০১৮-র ৪ জানুয়ারি দেশ ছাড়েন। সিবিআই প্রথম মামলা দায়ের করে ২৯ জানুয়ারি।
সূত্রের খবর, মেহুলের প্রত্যর্পণ চেয়ে সিবিআইয়ের আর্জি বিদেশ মন্ত্রকের কাছে পৌঁছেছে। তা অ্যান্টিগাকে দেওয়া হচ্ছে। সেবি-র যদিও দাবি, মেহুলকে তারা কোনও শংসাপত্র দেয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy