রাহুলদের নিশানায় মোদী। ছবি: এএফপি।
কাশ্মীর সমস্যার জন্য রাহুল গাঁধী এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করলেন সরাসরি। গত কয়েক মাস ধরে উপত্যকায় চলতে থাকা অশান্তির প্রসঙ্গ তুলে রাহুল আজ বলেন, ‘‘কাশ্মীর এত দিন ভারতের শক্তি ছিল। কিন্তু মোদী সরকার একে ভারতের দুর্বলতা বানিয়ে ছাড়ছে।’’
কংগ্রেস সহ-সভাপতির বক্তব্য, মোদী যে কাশ্মীর নিয়ে একটা সঙ্কট তৈরি করছেন, সে ব্যাপারে ছ’মাস আগেই তিনি সতর্ক করেছিলেন অরুণ জেটলিকে। কিন্তু সরকারে মোদীর সেনাপতি আমলই দেননি। রাহুলের কথায়, ‘‘মাস ছয় আগে অরুণ জেটলির সঙ্গে আমার কথা হয়। তাঁকে জানাই, প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে জটিলতা তৈরি করছেন। তখন জেটলি আমার কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, উপত্যকা নাকি শান্তিপূর্ণ।’’
কিন্তু এখন যখন শাসক শিবির সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০ দিন ধরে ‘মোদী উৎসব’ পালন করতে ব্যস্ত, তখনও কাশ্মীরই তাদের গলার কাঁটা। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ-সহ বিজেপির তাবড় নেতারা কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, অশান্তি যা কিছু হচ্ছে, তা শুধু দক্ষিণ-কাশ্মীরের সাড়ে তিনটি জেলায়। জম্মু-কাশ্মীরের বাকি অংশ শান্তই রয়েছে। এই বক্তব্যের সমর্থনে রাজনাথ মনে করাচ্ছেন, ক’দিন আগেই জিএসটি নিয়ে সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক নির্বিঘ্নেই হয়ে গেল শ্রীনগরে। জওহরলাল নেহরুর দিকে আঙুল তুলে রাজনাথের দাবি, ১৯৪৭ সাল থেকে চলা সমস্যা এক ঝটকায় মিটিয়ে ফেলা যায় না। তবে কাশ্মীরে স্থায়ী সমাধানই সরকারের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: মেয়েরাও যাবে যুদ্ধে, তৈরি সেনা
কী ভাবে? মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি চান বাজপেয়ীর পথে হাঁটুক কেন্দ্র। কথা হোক সব পক্ষের সঙ্গে। কিন্তু ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে, কাশ্মীরে সামরিক পথেই সমাধান খুঁজছে কেন্দ্র। গত কালও রাজনাথ জানিয়েছেন, হুরিয়ত বা পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই নেই। তাঁর ওই বক্তব্যের পরেই নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের পাক হামলা হয়। ফের শহিদ হন দুই জওয়ান। সেই সূত্র ধরেই আজ রাহুলের অভিযোগ, ‘‘কাশ্মীরকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করাটা মোদীর অদক্ষতার প্রমাণ। এতে দেশের সমস্যা বাড়ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy