সৌজন্য। মোদীর সঙ্গে জয়ললিতা। শুক্রবার চেন্নাইয়ে। ছবি: পিটিআই।
শেষ চেষ্টায় নামল বিজেপি। একেবারে শেষ সপ্তাহে।
তিন সপ্তাহ ধরে অচল সংসদ। সামনের সপ্তাহে হাতে রয়েছে মাত্র চার দিন। এই অবস্থায় সরকার চাইছে, পণ্য ও পরিষেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের বিলটি অন্তত যাতে পাশ করিয়ে নেওয়া যায়। আর তার সমর্থন জোগাড় করতে আজ চেন্নাইয়ে জয়ললিতার বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গেই দিল্লিতে আবার অরুণ জেটলি বৈঠক করলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে। সমাজবাদী পার্টির নেতা নরেশ অগ্রবাল-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গেও আজ আলোচনা করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা।
চলতি অধিবেশনের গোড়া থেকেই কংগ্রেস আক্রমণাত্মক। তবু সরকার একটি বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল। শেষ লগ্নে হলেও পণ্য ও পরিষেবা বিল অন্তত পাশ করিয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু গত তিন সপ্তাহ ধরে যে ভাবে কংগ্রেসের এককাট্টা মনোভাবের জন্য সংসদ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে, শেষ সপ্তাহেও তা বহাল থাকার আশঙ্কা করছে কেন্দ্র। আজ শেষ হচ্ছে সাংসদদের সাসপেনশনের মেয়াদ। সোমবার থেকে আরও জোরালো আক্রমণে নামার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে কংগ্রেস।
এই অবস্থায় রাজ্যসভায় অর্থবিলগুলি পাশ করানোর পাশাপাশি পণ্য ও পরিষেবা কর বিলটিও পাশ করাতে চাইছে সরকার। এই বিল পাশ করানোয় আপত্তি ছিল জয়ললিতার। তাই তামিলনাড়ুতে আজ সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ফাঁকে জয়ললিতার সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক এক বার ঝালাই করে নিলেন মোদী। অসুস্থতার কারণে জয়ললিতা দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না। প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালামের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানেও যাননি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে চলে গিয়েছিলেন জয়ললিতা। তিনিই নিজের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদীকে। মোদীও সেটি গ্রহণ করে বন্ধুত্বের বার্তা দেন। সেই সঙ্গে পণ্য ও পরিষেবা কর ও জমি বিল নিয়ে জয়ললিতার আশঙ্কা মেটানোর চেষ্টাও করেন।
কংগ্রেস যে ভাবে সংসদ অচল করে রেখেছে, তার পিছনে অনেকেই মোদী ও সনিয়ার মধ্যে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের অভাবকে দায়ী করছেন। এই অভিযোগের মুখে দাঁড়িয়ে মোদী আজ জয়ললিতার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করে বুঝিয়ে দিলেন, ইতিবাচক মনোভাব নিলে তিনিও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত। সংসদীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু গত কালই লোকসভায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেকে ফোন করেছিলেন। যাতে জানিয়ে দেন, কংগ্রেস সাংসদদের ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই।
সনিয়া গাঁধী দলীয় নেতৃত্বকে তেমনই নির্দেশ দিয়েছেন। এই অবস্থায় সামনের সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি পাশের বিষয়ে আশার আলো দেখছে না সরকার। কারণ, হট্টগোলের মধ্যে বাকি বিল পাশ হলেও পণ্য ও পরিষেবা করের মতো সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করানো যে সম্ভব নয়, সেটা ভাল করেই জানে মোদী সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy