—ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রকে আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ। এই অবস্থায় এ বার রাজকোষ ঘাটতি নিয়ে সরকারকে সতর্ক করল দুই উপদেষ্টা সংস্থা মুডি’জ এবং ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা মেরিল লিঞ্চও। তাদের মতে, ভোটের আগে কৃষক, ছোট ব্যবসায়ী এবং মধ্যবিত্তের মন ভোলাতে কেন্দ্র আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য না রেখে জনমোহিনী পদক্ষেপ করলে, রাজকোষ ঘাটতি বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। যা চাপ ফেলবে দেশের অর্থনীতির উপরেই।
সমীক্ষায় মুডি’জের দাবি, নতুন প্রকল্প ঘোষণা করলে ২০১৮-১৯ সালেই ঘাটতি ৩.৪ শতাংশে (লক্ষ্যমাত্রা ৩.৩%) গিয়ে ঠেকতে পারে। অন্য দিকে ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা মেরিল লিঞ্চের সমীক্ষা জানিয়েছে, চলতি বছরে ঘাটতি বাড়তে পারে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪০ বেসিস পয়েন্ট। যার জেরে ২০১৯-২০ সালে সেই লক্ষ্যমাত্রাই বাড়িয়ে ৩.৫ শতাংশে বাঁধতে পারে কেন্দ্র।
নোটবন্দি, তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর মতো পদক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত ছোট, মাঝারি শিল্প অসন্তোষ গোপন রাখেনি। ফসলের দাম নিয়ে ক্ষোভের জেরে মধ্যরাতে মুম্বই দখল করেছেন কৃষকেরা। পৌঁছেছিলেন দিল্লির দোড়গোড়াতেও। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, বাজারে জোর জল্পনা এই পরিস্থিতিতে কৃষক থেকে ছোট-মাঝারি শিল্প বা সাধারণ মধ্যবিত্ত— ভোটের আগে সকলকে কাছে টানতে বাজেটে নানা আর্থিক সুবিধা ঘোষণা করতে পারে মোদী সরকার। তারই আগে কেন্দ্রকে সতর্ক করল দুই সংস্থা।
আরও পড়ুন: ‘রাম জন্মভূমি মামলা ২৪ ঘণ্টায় মিটিয়ে দেব’, সুপ্রিম কোর্টকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন যোগী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy