অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারণা রুখতে আরও কড়া শাস্তির সুপারিশ করল অর্থ মন্ত্রক। প্রতীকী ছবি।
সারদা-রোজ ভ্যালির মতো অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারণা রুখতে নতুন বিল এনেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই বিলে আরও কড়া শাস্তির সুপারিশ করল অর্থ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
স্থায়ী কমিটির মতে, গরিব মানুষকে বোকা-বানানো ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার কাজকর্ম ঠেকাতে এই আইনে সমস্ত অপরাধকেই জামিন-অযোগ্য অপরাধের ধারায় ফেলা হোক। পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হোক পুলিশকে। বিলে তা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হোক।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারত ও উত্তর ভারতের নানা রাজ্যে চিট ফান্ডের রমরমা ও হাজার হাজার মানুষের প্রতারিত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরমহলে এ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়। নানা আইন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজকর্মের ফাঁকফোকর রুখতে একটি সার্বিক আইন তৈরির কথা বাজেটে ঘোষণা করেন অরুণ জেটলি। শেষে গত জুলাইয়ে ‘অনিয়ন্ত্রিত অর্থলগ্নি প্রকল্প নিষেধাজ্ঞা বিল’ লোকসভায় পেশ করে কেন্দ্র। আইন-বহির্ভূত যে কোনও অর্থলগ্নি প্রকল্প চালানো, তাতে টাকা জমা নেওয়া, বিজ্ঞাপন দেওয়া ইত্যাদির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
বিলে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার একটি সংস্থা তৈরি করবে, যারা বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার তথ্য রাখবে। কমিটির সুপারিশ, শুধু তথ্য রাখার বদলে এই সংস্থাটিকে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সমন্বয় রাখারও ক্ষমতা দেওয়া হোক। কারণ কমিটির আশঙ্কা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সেবি কিংবা কোম্পানি নিবন্ধকের মতো বিভিন্ন সংস্থার হাতে নিজের মতো কাজ করার ক্ষমতা ছেড়ে দিলে বাস্তবে আইন করেও লাভ হবে না। উদাহরণ হিসেবে কমিটির যুক্তি, দেশে এত অর্থ-জমা প্রকল্প চলছে। অথচ সেবি-র খাতায় নথিভুক্ত ‘কালেকটিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম’ মাত্র একটি। যার অর্থ, নজরদারিতে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
স্থায়ী কমিটিকে অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ৪ বছর ধরে সিবিআই ১৪৬টি ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলার তদন্ত করছে। ইডি তদন্ত করেছে ৫৬টির। কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক এবং এসএফআইও ২২৩টি কোম্পানির ৩২টি মামলার তদন্ত করেছে। এর পরেও বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি সংস্থার কাছে ৯৭৮টি মামলা পাঠানো হয়েছে। গত তিন বছরে শুধু সেবির তরফেই বেআইনি জমা প্রকল্পের বিরুদ্ধে নির্দেশ জারি হয়েছে ৬৪টি। তাই গতি নেই কঠোর শাস্তি ছা়ড়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy