Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

শিশুপুত্রকে মেরে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ার মা

ছেলের হাতের শিরা কেটে, গলায় ফাঁস দেওয়ার পর বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন মা। পুণের বাসিন্দা ওই মহিলা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ৫ বছরের ছেলের হাতের শিরা কেটে, শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি। এর পর রবিবার সকালে স্বামীকে ঘটনা জানানোর পর বাড়ির তিন তলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৫ ১৭:৫৫
Share: Save:

ছেলের হাতের শিরা কেটে, গলায় ফাঁস দেওয়ার পর বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন মা। পুণের বাসিন্দা ওই মহিলা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ৫ বছরের ছেলের হাতের শিরা কেটে, শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি। এর পর রবিবার সকালে স্বামীকে ঘটনা জানানোর পর বাড়ির তিন তলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

পুণের এক অভিজাত এলাকায় স্বামী তেজস ও ছেলে অর্ণবের সঙ্গে থাকতেন ৩৪ বছরের দীপ্তি মোরে। ঘটনার রাতে স্বামী ঘুমিয়ে পড়ার পর ছেলেকে নিজের ঘরে নিয়ে যান দীপ্তি। রাত দুটো নাগাদ ছেলের হাতের শিরা কাটার পর শ্বাসরোধ করেন। পর দিন সকালে স্বামীর কাছে অপরাধ স্বীকার করার সময় তিনি কেঁদেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। স্ত্রীর কথা শুনে তেজস ছেলের ঘরে ছুটে গেলে, বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন দীপ্তি। এর পরই বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। তেজসের বাজানো অ্যালার্ম শুনে ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা।

প্রতিবেশীদের সাহায্যেই দীপ্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে সিংহগড় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, গভীর অবসাদেই চূড়ান্ত এই পদক্ষেপ নিয়েছেন দীপ্তি।

পুলিশ মরাঠি ভাষায় লেখা দুই পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। চিঠির হাতের লেখা দীপ্তির বলেই অনুমান করছে পুলিশ। চিঠির মোদ্দা বক্তব্য, ‘জীবনে অনেক স্বপ্ন ছিল। কিছুই হল না’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

double-murder Shamokin
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE