মুখতার আব্বাস নকভি। ছবি: সংগৃহীত
পূর্ণমন্ত্রী হলেন মুখতার আব্বাস নকভি। বাড়ল শিখ মুখ। এলেন হরদীপ সিংহ পুরী। এ ছাড়াও যোগ হলো খ্রিস্টান মুখ আলফোন্স কান্নানথানম। মন্ত্রিসভায় এই রদবদলের পরেই বিজেপি র দাবি, সংখ্যালঘু-বিরোধী বলে বিরোধীদের প্রচার ভুল প্রমাণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীরা অবশ্য বলছেন, এটি নিছকই প্রতীকী।
মন্ত্রিসভায় তিন সংখ্যালঘু মুখকে নিয়ে আসা নিয়ে দলের এক নেতার মতে, নাজমা হেপতুল্লা রাজ্যপাল হয়ে যাওয়ার পরে নকভিই সামলাচ্ছিলেন সংখ্যালঘু মন্ত্রক। তাঁকে পূর্ণমন্ত্রী করা হলো এ দিন। নকভি শিয়া মুসলিম, যাঁদের একটি অংশ সমর্থন করছেন মোদীকে। তিন তালাক থেকে অযোধ্যা বিবাদে মুসলিমদের যে অংশের সমর্থন পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, তাঁদের অনেকেই শিয়া। নকভির পদোন্নতি সেই কারণেই। হরদীপ সিংহ পুরী মোদী মন্ত্রিসভায় এস এস অহলুওয়ালিয়ার পরে দ্বিতীয় শিখ মুখ। সংখ্যালঘু মুখ ও পঞ্জাবের প্রতিনিধিত্ব— বাড়ল দুই-ই।
কেরল থেকে আলফোন্সকে আনার পিছনেও রয়েছে অঙ্ক। কেরলের খ্রিস্টানদের ভোট টানতে চাইছেন মোদী, শাহ। গোয়াতেও খ্রিস্টানদের ভোট পেয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি। অতীতে বাজপেয়ী সরকারেও জর্জ ফার্নান্ডেজ ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। মন্ত্রী হয়েছিলেন শাহনওয়াজ হোসেনও। ফলে বিজেপি মনে করছে, তাদের সংখ্যালঘু-বিরোধী আখ্যা দেওয়া যে ভুল, সেটাই প্রমাণ করবে মোদী-মন্ত্রিসভায় নতুন সংখ্যালঘু মুখগুলি। কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারির মতে, এটি শুধুই প্রতীকী। সংখ্যালঘু নিয়ে বিজেপির মনোভাব আজ কারও অজানা নয়। কংগ্রেসের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ প্রকাশ্যেই বলেছেন, তাঁরা মুসলিম ভোটের প্রত্যাশা করেন না। আজ মন্ত্রী হয়েছেন অনন্তকুমার হেগড়ে, অতীতে তিনিও মুসলিম-বিরোধী কথা বলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy