বিজয় মাল্যর সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবে ব্যাঙ্ক। —ফাইল চিত্র
বিজয় মাল্যকে দেশে ফেরানোর আশা কার্যত ক্ষীণ। তবে তাঁর যে সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি ব্যবহারের অনুমতি দিল মুম্বইয়ের আদালত। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র একটি সূত্র জানিয়েছে, মুম্বইয়ের প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ বা অর্থ তছরুপ) আদালত এই রায় দিয়েছে।
তবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত রায়ের উপর স্থগিতাদেশ রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোনও পক্ষ বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করতে পারবেন। ইডির একটি সূত্রে খবর, এই সব সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে শেয়ার, ডিবেঞ্চারের মতো সম্পত্তি। আদালতের এই নির্দেশিকার ফলে সেই সব সম্পত্তি বিক্রি করা সম্ভব হবে।
পাওনাদাররা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছিলেন, বিজয় মাল্যর সম্পত্তি বিক্রি করে তাঁদের পাওনা মেটানো হোক। ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন পাওনাদারের কাছে বিজয় মাল্যর দেনা ৬২০৩.৩৫ কোটি টাকা। ২০১৩ সাল থেকে ১১.৫ শতাংশ হারে সুদ-সহ সেই টাকা ফেরত দিতে মাল্যর সম্পত্তি বিক্রির দাবি করে আসছেন পাওনাদাররা।
গত বছরের জানুয়ারিতেই বিজয় মাল্যকে ফেরার ঘোষণা করে পিএমএলএ আদালত। তার পর আদালতে ইডি জানায়, স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে কনসর্টিয়াম অব ব্যাঙ্কস-ও এই সম্পত্তি বিক্রির পক্ষেই সায় দিয়েছে। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, মাল্যর সম্পত্তি বিক্রি করতে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তার পরে এই সিদ্ধান্ত আদালতের।
ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে সেই টাকা ফেরত না দিয়ে ২০১৬ সালে দেশ ছাড়েন লিকার ব্যারন বিজয় মাল্য। থাকতে শুরু করেন লন্ডনে। তার পর থেকে লন্ডনেই রয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy