প্রতীকী ছবি।
কালীপুজোয় এলাকার ছেলেদের চাহিদা অনুযায়ী মোটা চাঁদা দিতে পারেননি ত্রিপুরা সরকারের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সুকু গৌর। সেই অপরাধে কালী পুজোর রাতে মণ্ডপের সামনে নিয়ে গিয়ে তাঁর মাথার উপর তুবড়ি বসিয়ে তা জ্বালায় কিছু ছেলে। সেই থেকেই গুরুতর জখম মানুষটি আর সুস্থ হয়ে ওঠেননি। গতকাল রাতে তিনি মারা গিয়েছেন। ঘটনা ত্রিপুরার কোনও প্রত্যন্ত গ্রামের নয়। খোদ রাজধানী আগরতলার দুর্জয়নগরের ঘটনা। এখন এসডিপিও ধ্রুব নাথ জানাচ্ছেন, এই ঘটনায় দু’জন অভিযুক্ত আগাম জামিন নিয়ে রেখেছে।
অভিযোগ, সুকুবাবুর কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। সামান্য সরকারি কর্মী সেই দাবি মেটাতে পারেননি। সুকুবাবুর মেয়ে পদ্মার কথায়, ‘‘বাবার মাথার উপরেই ফাটানো হয়েছিল তুবড়ি। গুরুতর জখম অবস্থায় পাড়ার ছেলেরা তাঁকে বাড়িতে দিয়ে যায়। আমরা শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করি। জিবি হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসা করানো হয়েছিল।’’
পদ্মা জানান, ‘‘তার পর থেকেই বাবা অসুস্থ। এলাকার ছেলেদের পুলিশ গ্রেফতার করেনি। উল্টে এলাকার এক নেতা প্রায়ই আমাদের বাড়িতে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাবাকে চাপ দিত। মামলা তুলে নিতে বলত। শেষ পর্যন্ত বাবাকে প্রবল চাপ দিয়ে একটি কাগজে লিখিয়ে নিয়েছিল।’’
তাঁর অভিযোগ, এই মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সুকু গৌর গতকাল মারা যান। সুকু গৌরের পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে এসডিপিওর বক্তব্য, ‘‘যে দু’জনের নামে মামলা হয়েছিল তারা আগাম জামিনে রয়েছে। এখন ময়দা-তদন্ত রিপোর্টে যদি দেখা যায় যে, সুকু গৌর ওই দিনের ঘটনার জন্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, তবে নতুন করে পুলিশ মামলা দায়ের করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy