স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগের জেরে উত্তেজনা ছড়াল করিমগঞ্জে। পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাল স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা।
অভিযোগ, করিমগঞ্জের কালীগঞ্জের চকিরমুখের বাসিন্দা সুনামউদ্দিন বিয়ের পর থেকেই তার স্ত্রীর উপর পণের দাবিতে অত্যাচার করছিল। কিন্তু স্ত্রী মরুফা বেগমের বাবা পেশায় রিকশাচালক। বার বার তাঁর পক্ষে জামাইয়ের দাবি মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না। প্রায় প্রতি দিন মারুফাকে মারধর করত সুনাম। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় সুনাম। ওই মহিলার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। তাঁকে কালীগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার সুনামকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদে সরব হন শহরবাসী। যারা যারা ওই ঘটনায় জড়িত রয়েছে, তাদের সকলকে গ্রেফতার করার দাবি ওঠে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। ওই মহিলার চার মাসের এক শিশুসন্তান রয়েছে।
চা বাগানের কর্তাকে মারধর। চা-বাগানের সহকারী ম্যানেজারকে মারধর ও তাঁর বাংলোয় হামলার অভিযোগ উঠল সেখানকারই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে করিমগঞ্জের রামকৃষ্ণনগর থানার কালীনগর চা-বাগানে। পুলিশ জানায়, বাগানের জমি দখল করার ছক কষেছিল কয়েক জন দুষ্কৃতী। তাতে বাধা দেন বাগানের সহকারী ম্যানেজার অমলেন্দু দাশগুপ্ত। মঙ্গলবার বিকেলে অমলেন্দুবাবু গাড়িতে কালীনগর বাগানের ১২ নম্বর সেকশনে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, তখনই কয়েক জন লোককে বাগানে গরু চড়াতে দেখেন তিনি। গাড়িচালক কান্তা কৈরি এবং নিরাপত্তাকর্মী পাপ্পুকে দুষ্কৃতীদের সরিয়ে দিতে বলেন অমলেন্দুবাবু। বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তাঁদের মারপিট হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy