অধিকার: রোদ মাথায় করেও ভোট দেওয়ার লম্বা লাইন মেঘালয়ের একটি ভোটকেন্দ্রে। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।
ভোট নিয়ে মোবাইলে অভিনব অ্যাপ ছিল। ভাসমান কনসার্ট ছিল। বুথের সামনে ছিল গানের আসর। পরিচ্ছন্ন ভোটপর্বের জন্য যাজকরা ডাকও দিয়েছিলেন দুই খ্রিষ্টানপ্রধান রাজ্যে। কিন্তু তার পরেও সে ভাবে বাড়ল না ভোটদানের হার। বিক্ষিপ্ত হিংসায় নাগাল্যান্ডে প্রাণ গেল ১ জনের। বিস্ফোরণ হল বুথের মধ্যেও। জখম হলেন তিন জন।
নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ের ৫৯টি করে আসনের জন্য ভোটগ্রহণ হল আজ। মেঘালয়ের উইলিয়ামনগরে এনসিপি প্রার্থী জোনাথন সাংমার মৃত্যুতে সেখানে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। আর নাগাল্যান্ডের উত্তর আঙ্গামি কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিও। বিকেল চারটে পর্যন্ত নাগাল্যান্ডে ৭৫ শতাংশ ও মেঘালয়ে ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রত্যন্ত এলাকাগুলি থেকে খবর আসা বাকি।
গত বিধানসভা নির্বাচনে মেঘালয়ে ৮৬.৮২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। নাগাল্যান্ডে ৮৩ শতাংশ। এ বছর মেঘালয়বাসীকে আরও বেশি করে বুথমুখী করতে থিম সং, রক কনসার্ট-সহ বিভিন্ন প্রচারের ব্যবস্থা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলিও মিউজিক ভিডিওর পিছনে বিস্তর টাকা ঢালে। গারো পাহাড়ের ত্রাস সোহন ডি শিরাও ভোটের তিন দিন আগে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে মারা যান। সব মিলিয়ে হাওয়া ছিল ইতিবাচক। সমস্যা বাড়াল সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে ইভিএমের গণ্ডগোল। ৫০টিরও বেশি বুথে যান্ত্রিক ত্রুটিতে থমকে থাকে ভোটপর্ব। রেলিয়াং কেন্দ্রের কিনডং টিউবারে একটি বুথে যে কোনও বোতাম টিপলেই বিজেপিতে ভোট পড়ার অভিযোগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হয়। কয়েকটি বুথে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোট নেওয়া চলে।
পরিচ্ছন্ন ভোটের বার্তা দেওয়া নাগাল্যান্ডে এ দিন সকাল থেকেই অশান্তি ছড়ায়। মন জেলার টিজিট টাউনে বুথের মধ্যে বোতল গ্রেনেড বিস্ফোরণে আহত হন বিজেপির প্রতিনিধি ইয়াংলাং কন্যাক। জুনহেবটো জেলার আকুলুতো টাউনে বিজেপি ও এনপিএফ সমর্থকদের মধ্যে তুমুল মারামারি হয়। তখনই অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে এক বিজেপি সমর্থকের মৃত্যু হয়। গোলমাল থামাতে রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ন গুলি চালালে দুই এনপিএফ কর্মী জখম হন। মককচং জেলার মংসেনিমটি গ্রামে মহিলাদের বুথে আসতে দেওয়া হয়নি। দু’টি বুথে ইভিএম ভাঙচুর হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy